আজ আর নয়তো কোনো গান নয়তো কবিতা
স্তব্ধতা পূরণে
ঘুম আসে না চোখে
তাইতো জেগে রই
সুখছানির বাসনে
ঘুমিয়ে গেছে পৃথিবী
নিথর ক্লান্ত সমাধি
অন্ধকার আর আমি রই জেগে
আলো থাকে জব্দ করে
একা ঘরে রাত দুপুরে
কেন আমি কই যাই উড়ে
ঘুম আসার আগে
আমি নিমগ্ন হই
শার্সির আড়াল থেকে
অর্ধ হয়ে যাওয়া চাঁদ
তার একমুঠো আলোয়
ছুড়ছে অথৈ চারিদিক
ঘুমিয়ে গেছে পৃথিবী
নিথর ক্লান্ত সমাধি
অন্ধকার আর আমি রই জেগে
গ্রহ হতে অন্য গ্রহে
ডুবসাঁতারে অন্তপুরে
মনে মনে ভিজি
ঐরূপ জলকে ডুবে
শুদ্ধ শান্ত সব
লোকালয় বিরান
রাত্রি হল
কেমন করে বসে রই
ফাঁকা মাঠে
ঘুমিয়ে গেছে পৃথিবী
নিথর ক্লান্ত সমাধি
অন্ধকার আর আমি রই জেগে
আলো থাকে জব্দ করে
একা ঘরে রাত দুপুরে
কেন আমি কই যাই উড়ে
মেঘলা রাত্রি...মেঘলা রাত্রি
মেঘলা রাত্রি...মেঘলা রাত্র
Here u find the collection of bangla song lyrics-এইখানে আপনি পাবেন বাংলা জনপ্রিয় গানের লিরিক্স
Saturday, 29 December 2012
না ঘুমদের গান
না
আর চার দেয়ালে কেন একা ডুবে থাকা
এই বর্তমানকে দূরে ঠেলে অতীতের
ছবি আঁকা
আর যত কারণে এই দ্বিধায় বাড়াবাড়ি
জাগবেনা আর জীবন তোমার হলে সান্ধ্য
আইন জারি
আর কেন হাত গুটিয়ে বসে থাকা
কিসেরই ভয়ে ভয়ে
আমি নেই কোন নিষিদ্ধ পরিচয়ে
মন যাকে দেবে সিদ্ধান্ত আজই নাও
যাবে এক নিমিষে ছন্দময় হয়ে
শুধু না না না না না বলে, কর
না না আসলে
না না না…
কালজয়ী বাঁধনে আমি বন্দী হতে জানি
থাকবেনা আর তখন আমার মহাবিশ্বের
হাতছানি
আর যদি এ মনের পরিবর্তন হবে ভাবো
ভেবোনা আর না এ তোমার উৎসাহ
হারাবো
Thursday, 27 December 2012
সময়
একাকী হৃদয়ে থাকবে আর কতকাল
ছন্নছাড়া অভিমান
নিরালায় একাকী শুনবো আর কতকাল
অন্ধকারের কলতান
নেমেছি তাই আমি জীবনের পথে
বাতাসের কাকলি বলে যায় যে আমাকে
সময়ের ছলনায় ভুলে যাব অভিমান
সময়ের ছলনায় মুছে যাবে পিছুটান
দুঃস্বপ্নের দিন থমকে যায়
শুধু অবিরাম সময় বয়ে যায়
কত বিষাদে কত বিরহে কত প্রহর কেটে গেছে
বোবা সময়ে মৃদু পরশে সব যন্ত্রণা মুছে গেছে
নিঃসঙ্গ প্রাসাদে লিখব আর কতকাল
দীর্ঘশ্বাসের কবিতা
মেঘ ঢাকা আকাশে আঁকব আর কতকাল
রংহীন ধূসর জলছবি
Wednesday, 26 December 2012
একা
আকাশ তুমি বুঝেছ কি?
হারিয়েছ তুমি সকল বাতাস।
সূর্য জেনেছো কি?
অন্ধকারে তুমি একা...
ছেলে, পেছনে ফিরে দ্যাখো
ছায়া নেই মেঝেতে তোমার।
তুমি একা।
সময় জানতে চাওনি কখনও,
তুমি কতটা শীতল।
বিকেল, জেনে নাও তুমি,
তোমার ভেতরে বৃষ্টি ঝরে।
মেয়ে, পেছনে ফিরে দ্যাখো,
তুমিও একা কি না?
তুমি একা।
এতটা ভালবাসি
যখন নিঝুম রাতে
সব কিছু চুপ,
নিষ্প্রাণ নগরীতে
ঝিঝিরাও ঘুম!
আমি চাঁদের আলো হয়ে,
তোমার কালো ঘরে;
জেগে রই সারা নিশি
এতটা ভালবাসি....(২)
এ কি অপরূপ সুন্দর
তার স্বপ্নের বর্ষা রাতে;
আমি ভিজে ভিজে মরি
মিছে মগ্ন প্রভাতে...
দেখি ভিষণ অন্ধকার মাঝে
আলো ছায়ায় তার নূপুর বাজে!
আমি যে ভেবে ভেবে শিহরিত...
আমি সূর্যের আলো হয়ে
তোমার চলার পথে
ছায়া হয়ে তোমায় দেখি
এতটা ভালবাসি।
হুম..... এতটা ভালবাসি....
ইচ্ছে ঘুড়ি
এই হাওয়ায় ওড়াও তুমি, তোমার যত
ইচ্ছে ঘুড়ি
চুপি চুপি মেঘের মেলা, তোমার আকাশ
করছে চুরি
সূর্য বসাও আকাশের নীল, ইচ্ছের রঙ
গোলাপী হলে
দিগন্ত রেখায় সূর্য নামে, ব্যস্ত সময়
যাচ্ছে চলে।
হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়,
উড়ছে তোমার ইচ্ছে ঘুড়ি
ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে,
আকাশের নীল যাচ্ছে চুরি।
শুভ্র সেই মেঘের ভীড়ে, তোমার সব
ইচ্ছে ওড়ে।
আকাশ খেয়ালী মনে, হারায় কিছুই
না জেনে।
তোমার সুতোয় বাঁধা আকাশ,
ঝড়ো হাওয়ায় রঙ হারালে
নির্বাক। ইচ্ছে। আচমকা।
দিশেহারা......
এই আলোয় হাঁটছো একা, সঙ্গী কর আমায়
তুমি।
বেয়াড়া যত মেঘের ছায়া,
করছে চুরি স্বপ্নভূমি
নীলের আকাশ গোলাপী হলে,
ইচ্ছে ঘুড়ি যাচ্ছে চলে
সূতোর বাঁধা ছাড়িয়ে আকাশ, অন্য ভূবন
দেখবে বলে।
হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়,
ভাঙছে তোমার মেঘলা রেখা
ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে,
আকাশ আবার হবে যে দেখা ।
মন তোরে
সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর
ও মন রে ঘুণে করলো জড়ো জড়
আমি কি করে বাস করিব এই ঘরে রে
তুই সে আমার মন
মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
তুই সে আমার মন
তিন তক্তার এ নৌকা খানি
ও মনরে গাঙে গাঙে চুয়ায় পানি
আমি কি করে সেঁচিবো নৌকার পানিরে
তুই সে আমার মন
মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
তুই সে আমার মন
আসি রাইতে ভবের মাঝারে
ও মনরে স্বপ্ন দেইখা রাইলি ভুলে
আমার এই স্বপন
কি মিথ্যা হইতে পারে রে
তুই সে আমার মন
মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
তুই সে আমার মন
জল ফড়িং
তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস,
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস ?
সাক্ষাৎ আলাদিন তোর প্রদীপ
ভরা জিনে,
কেন খুঁজতে যাস আমায়
সাজানো মাগাজিনে ?
ভেজা রেলগাড়ি হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে,
আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে
তারপর বেরোয় মেঘ আর তারায়
ভরা স্টেশন ,
একটু থামতে চায় প্রেমিকের
ইন্সপিরেশন
তোর এ সকাল ঘুম ভেঙ্গে দিতে পারি
তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি
আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং
ছুঁড়ে ফেলে দে তোর গল্প বলা ঘড়ি,
শূন্যে খুড়োর কল , সব মিথ্যে আহামরি
একটু শুনতে চাই তোর পাঁজর
ভাঙ্গা চিৎকার,
অন্য গানের সুর, তোর অদ্ভুত এ অহংকার
তোর এ সকাল ঘুম ভেঙ্গে দিতে পারি
তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি
আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং
পূর্ণতা
সেদিন ভোরে, বুকের গভীরে
শুনেছি জমে থাকা নীল বেদনার ডাকে
এই শহরে ইটের পাহাড়ে, ছিলনা কেউ
যে দেওয়ার প্রেরণা
যন্ত্রে বাঁধা মন, ছিল ক্লান্ত অসহায়
অর্থে কেনা সুখ, ম্রিয়মাণ দুঃখের
ছায়ায়
যন্ত্রে বাঁধা মন, ছিল ক্লান্ত অসহায়
অর্থে কেনা সুখ, ম্রিয়মাণ দুঃখের
ছায়ায়
আর নয় সময় উদ্দেশ্যহীন মিছিলে
তুমি সেই পূর্ণতা আমার অনুভবে
আর নয় আঁধার, তুমি স্বপ্নে ডেকে নিলে
ভরে মন অন্তহীন রঙ্গিন এক উৎসবে
আজকে শুনি আনন্দধ্বনি,
পৃথিবী ভবেছে সুখে বেঁচে থাকার
মায়ায়
শূন্য আশার জীবন্ত ভাষায়,
অদূরে দেখেছি প্রাণের মোহনা
যন্ত্রে বাঁধা মন, ছিল ক্লান্ত অসহায়
অর্থে কেনা সুখ, ম্রিয়মাণ দুঃখের
ছায়ায়
আর নয় সময় উদ্দেশ্যহীন মিছিলে
তুমি সেই পূর্ণতা আমার অনুভবে
আর নয় আঁধার, তুমি স্বপ্নে ডেকে নিলে
ভরে মন অন্তহীন রঙ্গিন এক উৎসবে
এক মুহুর্তে
এক মুহুর্তে চলে যাওয়া এক
মুহুর্তে ফেরা
এক মুহুর্তে নীরব ঠিকি পরক্ষনেই জেরা
এক মুহুর্তে ঘুমাও তুমি এক মুহুর্তে জাগো
এক মুহুর্তে শান্ত তুমি এক মুহুর্তে রাগো
এক মুহুর্তে দূরে সরাও আবার
কাছে ডাকো
তোমার এমন এক মুহুর্ত হাজার
থেকে লাখো
এক মুহুর্তে জলে ভাসো এক মুহুর্তে ক্ষরা
এক মুহুর্তে উদার তুমি পরক্ষনেই করা
এক মুহুর্তে অবুঝ তুমি এক মুহুর্তে বোঝো
এক মুহুর্তে হারাতে মন এক
মুহুর্তে খোজো
এক মুহুর্তে ফিরিয়ে দাও আবার
সাথে রাখো
তোমার এমন এক মুহুর্ত হাজার
থেকে লাখো
আকাশ যেমন দিনে রাতে রোদ আর
মেঘে রঙ বদলায়
তেমনি তোমার মনের খবর কাছ থেকেও
পাওয়া না যায়(২)
এক মুহুর্তে মন ভালো নেই আবার
দেখি ভালো
এক মুহুর্তে আনন্দ দাও আবার
ব্যথা ঢালো
এক মুহুর্তে ভালোলাগা এক মুহুর্তে মন্দ
এক মুহুর্তে সরল সবি আবার দ্বিধা-
দ্বন্দ্ব
এক মুহুর্তে স্বপ্ন দেখাও এক
মুহুর্তে ভাঙ্গো
এক মুহুর্তে সাদাকালো পরক্ষনেই
রাঙ্গো
এক মুহুর্তে উড়িয়ে দাও আবার
কাছে ডাকো
তোমার এমন এক মুহুর্ত হাজার
থেকে লাখো
তোমার এমন এক মুহুর্ত হাজার
থেকে লাখো
তোমার এমন এক মুহুর্ত হাজার
থেকে লাখো
গোধূলী
দিগন্ত জুড়ে নিলীমার মাঝে
পলাতক সময় করে পরিহাস
স্তব্ধ নিঃশ্বাস দূরে ঠেলে
আসি আমি ফিরে বারেবার।
ছুঁয়ে যাই আবারও হারাই
একই আকাশের গোধূলী
অনন্ত পতন, অনন্ত সময়
একই ভাঙ্গনের কথা একই পথ,
আমারই জন্যে সহস্র সূর্য
দেবে একই আলো চিরকাল।
ছুঁয়ে যাই আবারও হারাই
একই আকাশের গোধূলী
আমি বুঝিনা কেন,
একই মাটিতে কেন এত রক্তের
রং খেলা।
আমি জানিনা কেন,
একই মানুষের একই স্পর্শে কেন এত
ছোঁয়া।
আমি হারিয়ে যাই এ মায়াজালে,
পরাধীনতার এ বাঁধনে,
তবু যেতে চাই স্বপ্নের আলোয়,
সকল আঁধার ভেঙ্গে আলো ছায়ায়
ছুঁয়ে যাই আবারও হারাই
একই আকাশের গোধূলী
আজও
আমাদের আকাশে পাখিরা ওড়ে
দিকচিহ্নহীন ভাবে
আজও......
আলো পেয়েও যেন অন্ধকারই চায়
কীসের কি অন্ধ হতাশায় সবাই
আজও......
এভাবে বেঁচে আছি সবাই কেমন করে?
কিছুই না বুঝে
আজও...
এখনও
কেন
সবাই এরকম?
আসো, দ্যাখো, শোনো, বোঝো......
Sunday, 23 December 2012
জেলখানার চিঠি (খোলা চিঠি-২)
অথবা সেই চোখে ছিলো মুক্তির গান,
আজন্ম আশ্বাসের ধারা,
প্লাবিত ভালোবাসায় পাগলপারা;
"চরমপত্রের" টান-টান উত্তেজনার
বান৷
... চোখে চোখ রেখে যুদ্ধে যাবো,
সেই বাঁধনের মতো খাঁমচে ধরবো;
অধিকার....
একাত্ম হও, তোমাতেই ফিরবো;
একাত্ম হও, তোমাতেই ফিরবো৷
♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____
♫______♫
প্রিয়তমা আমার
তেমার শেষ চিঠিতে
তুমি লিখেছ ;
মাথা আমার ব্যথায় টন্ টন্ করছে
দিশেহারা আমার হৃদয়।
তুমি লিখেছ ;
যদি ওরা তেমাকে ফাঁসী দেয়
তেমাকে যদি হারাই
আমি বাঁচব না।
তুমি বেঁচে থাকবে প্রিয়তমা বধু আমার
আমার স্মৃতি কালো ধোঁয়ার মত হাওয়ায়
মিলিয়ে যাবে
তুমি বেঁচে থাকবে, আমার হৃদয়ের
রক্তকেশী ভগিনী,
বিংশ শতাব্দীতে
মানুষের শোকের আয়ূ
বড় জোর এক বছর।
মৃত্যু......
দড়ির এক প্রান্তে দোদুল্যমান শবদেহ
আমার কাম্য নয় সেই মৃত্যু।
কিন্তু প্রিয়তমা আমার, তুমি জেনো
জল্লাদের লোমশ হাত
যদি আমার গলায়
ফাসীর দড়ি পরায়
নাজিমের নীল চোখে
ওরা বৃথাই খুঁজে ফিরবে
ভয়।
অন্তিম ঊষার অস্ফুট আলোয়
আমি দেখব আমার বন্ধুদের,তোমাকে
দেখব
আমার সঙ্গে কবরে যাবে
শুধু আমার
এক অসমাপ্ত গানের বেদনা।
বধু আমার
তুমি আমার কোমলপ্রাণ মৌমাছি
চোখ তোমার মধুর চেয়েও মিষ্টি।
কেন তোমাকে আমি লিখতে গেলাম
ওরা আমাকে ফাঁসী দিতে চায়
বিচার সবে মাত্র শুরু হয়েছে
আর মানুষের মুন্ডুটা তো বোঁটার ফুল নয়
ইচ্ছে করলেই ছিঁড়ে নেবে ।
ভুলে যেও না
স্বামী যার জেলখানায়
তার মনে যেন সব সময় ফুর্তি থাকে
বাতাস আসে, বাতাস যায়
চেরির একই ডাল একই ঝড়ে
দুবার দোলে না।
গাছে গাছে পাখির কাকলি
পাখাগুলো উড়তে চায়।
জানলা বন্ধ
টান মেরে খুলতে হবে।
আমি তোমাকে চাই ;তোমার মত রমনীয়
হোক জীবন
আমার বন্ধু,আমার প্রিয়তমার মত
নতজানু হয়ে আমি চেয়ে আছি মাটির
দিকে
উজ্জল নীল ফুলের মঞ্জরিত শাখার
দিকে আমি তাকিয়ে
তুমি যেন মৃন্ময়ী বসন্ত,আমার প্রিয়তমা
আমি তোমর দিকে তাকিয়ে।
মাটিতে পিঠ রেখে আমি দেখি আকাশকে
তুমি যেন মধুমাস,তুমি আকাশ
আমি তোমাকে দেখছি প্রিয়তমা।
রাত্রির অন্ধকারে,গ্রামদ
েশে শুকনো পাতায়
আমি জ্বালিয়েছিলাম আগুন
আমি স্পর্শ করছি সেই আগুন
নক্ষত্রের নিচে জ্বালা অগ্নিকুন্ডের
মত তুমি
আমার প্রিয়তমা, তোমাকে স্পর্শ করছি।
আমি আছি মানুষের মাঝখানে,ভালবাসি
আমি মানুষকে
ভালবাসি আন্দোলন,
ভালবাসি চিন্তা করতে,
আমার সংগ্রামকে আমি ভালবাসি
আমার সংগ্রামের অন্তস্থলে মানুষের
আসনে তুমি আসীন
প্রিয়তমা আমার
আমি তোমাকে ভালবাসি।
♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____
♫______♫
স্বপ্নাতুর চোখে আবেগ আর আন্দোলন,
মিলে-মিশে একাকার৷
সমুদ্রগভীর জনতার দাবী, কন্ঠের
সনত্মরণ;
চিত্কারে মেশে হাহাকার৷
♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____
♫______♫
রাত এখন ন’টা
ঘন্টা বেজে গেছে গুমটিতে
সেলের দরোজা তালা বন্ধ হবে এক্ষুনি।
বেঁচে থাকায় অনেক আশা,প্রিয়তমা
তোমাকে ভালবাসার মতই একাগ্র
বেঁচে থাকা।
কাল রাতে তোমাকে আমি স্বপ্ন দেখলাম
মাথা উঁচু করে
ধুসর চোখে তুমি আছো আমার
দিকে তাকিয়ে
কৃষ্ণপক্ষ রাত্রে কোথাও আনন্দ
সংবাদের মত ঘড়ির টিক্ টিক্ আওয়াজ
বাতাসে গুন্ গুন্ করছে মহাকাল
আমার ক্যানারীর লাল খাঁচায়
গানের একটি কলি,
লাঙ্গল-চষা ভূঁইতে
মাটির বুক ফুঁড়ে উদগত অঙ্কুরের দুরন্ত
কলরব
আর এক মহিমান্বিত জনতার
বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত ন্যায্য অধিকার
তোমার আদ্র ওষ্ঠাধর কম্পু
কিন্তু তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম
না।
♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____
♫______♫
আগামীর আমরা বর্তমানে আছি,
সূর্যের একটা দিন আলোর হাতছানি৷
সুন্দরতম সূচনায় শেকলের
মতো হাতে হাত;
একাগ্র চাওয়ায়, ভোর
হবে কালো রাত.....
আমার যমুনার জল
আমার যমুনার জল দেখতে কালো,
চান করিতে লাগে ভালো,
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে(২)
গডা পানিতে নাইম্যা কন্যা গডা মাঞ্জন
করে,
হাঢু পানিতে নাইম্যা কন্যা হাঢু
মাঞ্জন করে।
আমার যমুনার জল দেখতে কালো,
চান করিতে লাগে ভালো,
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে
উরত পানিতে নাইম্যা কন্যা উরত
মাঞ্জন করে,
কোমর পানিতে নাইম্যা কন্যা কোমর
মাঞ্জন করে।
আমার যমুনার জল দেখতে কালো,
চান করিতে লাগে ভালো,
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে
ফেড পানিতে নাইম্যা কন্যা ফেড
মাঞ্জন করে,
বুক পানিতে নাইম্যা কন্যা বুক মাঞ্জন
করে।
আমার যমুনার জল দেখতে কালো,
চান করিতে লাগে ভালো,
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে
গলা পানিত নাইম্যা কন্যা গলা মাজন
করে,
মাথা পানিত নাইম্যা কন্যা ডুব
দিয়া ডুব খেলে।
আমার যমুনার জল দেখতে কালো,
চান করিতে লাগে ভালো,
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে
গোসল বড় কইরা সখি মুখে দিছে পান,
ঘর থাইকা বাইর হইছে পূর্ণিমারই
চান।
আমার যমুনার জল দেখতে কালো,
চান করিতে লাগে ভালো,
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে(২)