Privacy Policy

Sunday, 29 July 2012

প্রথম প্রেমের মত

প্রথম প্রেমের মত
প্রথম কবিতা এসে বলে
হাত ধরে নিয়ে চলো
অনেক দূরের দেশে

কত পথ প্রান্তর ঘুরে ফিরেছি
পাইনা তো আজো তোমায়
সেই পথ চলা শেষ হলে
কাছে এসে যেও বলে
এই তো আমি এই তো আমি

তোমারি আশায় বসে থেকেছি
নাম ধরে ডাক দিলে কে গো তুমি
ফিরে এলে আজ কাছে
ভালোবাসা যত আছে
দিলাম তুলে দিলাম তুলে

Wednesday, 25 July 2012

বাস স্টপেজ

নার্সারি ছারিয়ে, চৌরাস্তার মোড়ে
বাস স্টপেজ…… ফুলস্টপ হয়ে দাঁড়িয়ে
বুকে জমা পোষ্টার- আর্ট গ্যালারির মতো উদাসীন
বখাটে কারো সেল নাম্বার- বিজ্ঞাপন হয়ে বিব্রত

কড়া পারফিউম অযথা সুবাস বাতাসে
ক্লান্তিহীন ছুটছে কিছু বিরতিহীন বাস
চকচকে পিচে বেরসিক বৃষ্টি নাম লিখে গেছে
সন্ধানী হকার খুঁজে বেড়ায় গাড়ীযাত্রী কোনো হাসিমুখ
এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে
কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা
জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা ।।
কিশোরীর হাতে ফুলের সুবাস, ছুঁয়ে দিতে চায় চকচকে গ্লাস
বৃষ্টির ছাঁটে ভেজা পলিথিন, মিরপুর যাবে বিরতিহীন
বিবর্ণ ঠোঁটে সাইনবোর্ড হাসি, বলছে প্রেমিকা “তোমায় ভালবাসি”
চাক্ষুস সাক্ষী রাস্তার মোড়ে, নার্সারি ছারিয়ে একটু দূরে

বিজ্ঞাপন হয় এক্স সুন্দরী
বাস স্টপেজে আসে ইচ্ছে ঘুড়ি
বিক্রি হয় কতো কমিক কমিক সিরিজ
উদাস বিজ্ঞাপনে কাঁটে পণ্য রিলিজ
এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে
কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা
জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা ।।

সুপ্রভাত

একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন
আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই শুভ্র সকালে
ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর
ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন
এই সকালে, রাস্তায় হাঁটছি ……

সুপ্রভাত একদিন আমাদের ……

দ্বিধাহীন ভোর আসে, ফুটপাতে
ধুলোময় দোকানে খবরের কাগজে ……
খেয়ালী কোলাহলে জমে ওঠে
শহরের রাজপথে যান্রিক কোন সুরে
এই ঝড়ো সংলাপে,
এই সুপ্রভাত, রুক্ষ চায়ের কাপে ……

একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন
আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই রোদেলা দুপুরে
ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর
ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন
ঠিক দুপুরে, রাস্তায় হাঁটছি ……

সুপ্রভাত একদিন আমাদের

পরিচয়

দেহের ভিতর রাখলাম যারে, সে আমার থাকল না রে
খাঁচার পাখি কখন কি আর
মনের পাখি হয় ?
তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি কি আর হয়।

কথায় কথায় মনের ছায়া, মিথ্যে আশায় দিচ্ছে মায়া
অবাক আলোয় বনের পাখি, মনের কথা কয়
বনের পাখি খাঁচায় থাকে, এমন কি আর হয়
তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি কি আর হয়।

লালন বলে খাঁচার কি দোষ, দুয়ার থাকলে খোলা
মনের দুয়ার বন্ধ হলে, সময় যে সব যাবে চলে
লোহার খাঁচার ছোট্ট ঘরে
কোন পাখি কি আর রয় ?

আট কুঠুরি নয় দরজা, সে তো খোলার নয় ……

তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি হবার নয়।

বাংলাদেশ

যখন কিশোরীর হাতে সূতোয় বোনা সবুজ গ্রাম
যখন রং তুলিতে আঁকা বাংলার মুখ অবিরাম
যখন গাই এখানেই শুধু শরতের রং এ হয় শেষ
সেই শুভ্র কাঁশফুল ঘিরে দেখে যাই সবুজের দেশ

মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ
যেখানে লাল সূর্যের রংয়ে রাজপথে মিছিল
যেখানে কুয়াশার চাঁদর আকাশ থাকে নীল
যেখানে রিম ঝিম বৃষ্টি শুকনো মাটির টানে
অবিরাম ঝড়ে সবুজ সাজায় ……

মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ

যখন এক চোখে ঘুম ঘুম, এক চোখে নীল রাত
আমায় ভাবিয়ে যায়
যখন এক হাতে রোদ্দুর এক হাতে গোলাপ
সবুজ ছুঁয়ে ভাবায় আমায়
একদিকে নীল নীল, এক দিকে কাঁশফুল, দু’চোখ যেখানে শেষ
এক প্রান্তে সবুজ, এক প্রান্তে লাল,
আমার বাংলাদেশ ……

বরষা

বরষা মানেনা
ঝরছে জলধারা,জানিনা, জানিনা-কাটবে কি ঘনঘটা।অনুনয় মানেনা
অবারিত মনকথা,জানিনা, জানিনা-থামবে কি ঘনঘটা।নির্ঝর গগনে, অপলক চেয়ে রই
বিস্মৃত কবিতা, আনকা পবনে-
মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন

বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”।দিপীকা সায়রে

অনিমেষ চেয়ে রই
মিথিলা বরষা, অলোক দহনে-
মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন

বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”।

বরষা মানেনা
ঝরছে জলধারা……

পাখি

একা পাখি বসে আছে শহুরে দেয়ালে
শীষ দিয়ে গান গায় ধূসর খেয়ালে
তার ফেলে যাওয়া আনমনা শীষ, এই শহরের সব রাস্তায়
ধোঁয়াটে বাতাসে, নালিশ রেখে যায়।।

আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু

পাখি আনমনা বসে দেয়ালে, পাখি নির্বাক চোখ রাস্তায়,
ধোঁয়াটে শহরের উষ্ণতা বাড়েনা,
তার আনমনা চোখ, অবুঝ চোখ মনের দরজায়, আঙুল রাখেনা।

কিছু সুর তুমি এনে দাও পাখি নাগরিক কোলাহলে
তুমি গান গাও, তুমি শীষ দাও এই শহুরে দেয়ালে
তুমি ভুলে যাও এই শহরের যত ব্যস্ত জনকথা
আমি এসেছি তোমার কাছে এনে দাও স্বাধীনতা।

দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু
আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
আমি জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি…… তোমার পিছু।

ক্যাফেটেরিয়া




পড়ন্ত বিকেল ক্যাফেটেরিয়া
উঁকি দিয়ে দেখি,
এক কাপ চা, গরম তৃষ্ণায়
অজস্র এলোমেলো শব্দের ভীড়ে

তোমার শীতল চোখ ভিজিয়ে যায় আমায়।

যেখানে তোমার ঠোঁট ভালবাসা
আমি বুড়ো কবিতার মত চুপচাপ।
যেখানে তোমার চোখ খুনী
আমি খুন হই…… প্রতিদিন।


স্বদেশ

বলেছিলে তুমি আমায়
“এসো, নাও নূতন ভোরের আলো”
দিয়েছিলে শতাব্দীর অবগাহন,
এক মুক্ত সময়ের আহবান।

বলেছিলে তুমি আমায়
“জাগো, শোনো আমার কন্ঠনিষাদ”
দিয়েছিলে অভ্র কোনদিনে,
রোদ গন্ধমাখা জীবন।

বলেছিলে “অপেক্ষা কর, জেনো,
কাটবেই কৃষ্ণপ্রহর”
তবু জেগে দেখি কাঁদছে মানুষ
পুড়ছে আমার স্বদেশ।

আর একটিবার তোমায়
দেখতে চাই, দেখতে চাই।

জেনে রেখো অন্ধকার কোনো কালে হারিয়েছি
আমার অতীত
কবে পাবো অর্থময় নীরবতা,
কবে আসবে স্বাধীনতা।

কবে পাবো নীরজা তোমায়, আসবে আলোক প্রহর-
তবু জেগে দেখি কাঁদছে মানুষ, পুড়ছে আমার স্বদেশ
আর একটিবার তোমায় দেখতে চাই, দেখতে চাই।

আঁধার ভাঙা স্বপ্ন হতে জাগাই
তুমি আসবে বলে মহাকাল স্তব্ধ
কাদের তরে আমার বাঁচা, আমার লড়াই
এখনো তোমার প্রিয়মুখ আমায় বাঁচায়
জানি মুক্তি তোমাতে।

ভবঘুরে ঝড়

চৌরাস্তার উঁচু ল্যাম্পপোস্ট ছাড়িয়ে,
নিঃশ্বাস নিয়ে একটু দাঁড়িয়ে
চারিপাশে বিমূর্ত রেখায়,
আমি, ভবঘুরে ঝড়, তোমাদের খুব কাছে
ছায়া হয়ে যাই,
তোমাদের ভালোবাসা……

শনশন উত্তাল হাওয়ায়,
চৌরাস্তার ল্যাম্পপোস্ট হাঁপায়
এক কাপ গরম চায়ে,
আমি, ভবঘুরে ঝড়,
তোমাদের খুব কাছে
ভিজে একাকার,
তোমাদের ভালোবাসা……

কখনো তোমাদের অজানা জানায়
বাউন্ডুলে ঝড় আমায় ভাবায়……
তোমাদের ছায়ায়,
নির্বাক ভালোবাসা
আমি আজন্ম ভবঘুরে……
ঝড় নিয়ে আসি।

রূপসী নগর

আবার হবে দেখা,
তোমাদের এই অচিন নগরে
সহসা ধূসর ধুলোর ভীড়ে
অচেনা রূপসী নগরে……
আবার হতে পারে দেখা।

আবার হবে কথা,
অনেকের এই প্রিয় নগরে
অনেক হারাবার প্রান্তরে
অজানা রূপসী নগরে……
আবার হতে পারে দেখা।

রূপসী উষ্ণ এ পথে,
নির্বাক সব কথার ভীড়ে
ধূলোয় ধুলো প্রান্তরে,
দেখা আবার হতে পারে
হেঁটে যাই আমি।
ধূসর ছাড়িয়ে।
দেখা হবে সবুজ আশায়……

নিঃসঙ্গ

দীর্ঘশ্বাস তোমার রুক্ষ দেয়াল ছুঁয়ে
বিবর্ণ রাত্রি কাটে বিমূর্ত সময়
প্রার্থনা তোমার হারিয়ে যায় অন্ধকারে
স্তব্ধ এই বদ্ধঘরে অস্পষ্ট স্বরে

নিঃসঙ্গ একা তুমি
ক্লান্ত… জীর্ন তুমি
অন্ধ দেয়াল জুড়ে
দুঃস্বপ্ন আছড়ে পড়ে।

পারবে কি ভেঙে দিতে এই দেয়াল?
পারবে কি ছেড়ে যেতে এই বাঁধন?
ধূলোমাখা জানালার আলো ছাড়িয়ে
পারবে কি ফিরে যেতে আবার?

আর্তনাদ তোমার বিদগ্ধ এ মন জুড়ে
প্রতিধ্বনি করে চুপিসারে
স্বপ্নগুলো কেন জড়িয়ে যায়ে এ মায়াজালে
দুঃসহ যন্ত্রনাতে, অশান্ত ঝড়ে

নিঃসঙ্গ একা তুমি
ক্লান্ত… জীর্ন তুমি
অন্ধ দেয়াল জুড়ে
দুঃস্বপ্ন আছড়ে পড়ে।

অন্যকেউ

আমি না অন্যকেউ নিয়ে যায় তোমায়
যেখানে অবিরত ভেঙে পড়ে সময়;
আমি না অন্যকেউ নীরবে বাঁচে
রক্তসিদুঁর আঁকে যেথা নবআশা;
আমি না অন্যকেউ নিয়ে যায়
আমার কন্ঠ হতে প্রতিবাদ প্রলয়।

তুমি না অন্যকেউ মোর শয্যাতে
জেগে দেখি পূব কোনে তমসা ক্ষয়

তুমি না অন্যকেউ ফিরে আসে আর
ডেকে তোলে বৃত্তবন্দী মন।

সঙ্গী তুমি সোনালী ভোরে অজানা কোনো আলো
আলোয় ভরা আনন্দলোকে নিঃস্ব প্রাতে চলো
তবু জেগে উঠো, বেঁচে উঠো, গেয়ে উঠো আমার এ গান-

তুমি না অন্যকেউ শিয়রে কাঁদে, অধরা ছায়া শূন্যমাঝে ভেঙে পড়ে

তুমি না অন্যকেউ মেলে দেয়
ভোরের আকাশে সোনালীডানা চিল।

যাবে কি তুমি মোর সাথে?
আকাশ উর্ধ্বে ঐ নীল মাঝে,
যেথা অন্ধ বিশ্ব খোঁজে তোমাকে
যাবে কি তুমি মোর সাথে?

অনেক আশা নিয়ে

অনেক সবুজের প্রান্তে তুমি থাকো একাকী
আমি ধূসর, ধূসর হয়ে জেগে থাকি।
অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী
আমি অনেক আশা নিয়ে বসে থাকি।

হেরে যেতে যেতে যদি থমকে,
এক নিঃশ্বাসে সব পেরিয়ে
রোদ ঝলমলে এক দুপুরে,
যদি ঘুম সব ঘুম ভেঙে যায়
আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি।

দরজার বাইরে রঙীন পৃথিবী,
ধূলো ধূলোমাখা দাঁড়িয়ে আছে
ঝড়ের আশায় তোমার শহরে,
শিরোনামহীন ফুটপাত ঘুমিয়ে গেছে।
একদিন এই ঝড়, তোমার এই শহরে,
ভেজায় যায় সব জানালা তবু আমি বসে আছি।
অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী।
আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি।

ইচ্ছে ঘুড়ি

এই হাওয়ায় ওড়াও তুমি, তোমার যত ইচ্ছে ঘুড়ি
চুপি চুপি মেঘের মেলা, তোমার আকাশ করছে চুরি
সূর্য বসাও আকাশের নীল, ইচ্ছের রঙ গোলাপী হলে
দিগন্ত রেখায় সূর্য নামে, ব্যস্ত সময় যাচ্ছে চলে।
হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়,
উড়ছে তোমার ইচ্ছে ঘুড়ি
ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে,
আকাশের নীল যাচ্ছে চুরি।

শুভ্র সেই মেঘের ভীড়ে, তোমার সব ইচ্ছে ওড়ে।
আকাশ খেয়ালী মনে, হারায় কিছুই না জেনে।
তোমার সুতোয় বাঁধা আকাশ,
ঝড়ো হাওয়ায় রঙ হারালে
নির্বাক। ইচ্ছে। আচমকা। দিশেহারা……

এই আলোয় হাঁটছো একা, সঙ্গী কর আমায় তুমি।
বেয়াড়া যত মেঘের ছায়া, করছে চুরি স্বপ্নভূমি
নীলের আকাশ গোলাপী হলে, ইচ্ছে ঘুড়ি যাচ্ছে চলে
সূতোর বাঁধা ছাড়িয়ে আকাশ, অন্য ভূবন দেখবে বলে।
হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়,
ভাঙছে তোমার মেঘলা রেখা
ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে,
আকাশ আবার হবে যে দেখা ।

দ্বিতীয় জীবন

অদৃশ্য চাদরে, দিগন্ত রেখায় বসে আছে সে,
অসংখ্য অনাবিল, পথ পেরিয়ে আশার স্মৃতির ভীড়ে-
রূপালী চাঁদের আলোয় জড়িয়ে থাকা সেই পিচঢালা পথ,
বিষন্ন চারিধার, ছড়িয়ে থাকা মৃদু কুয়াশা-

বিষন্ন ধোঁয়াশায় ধূসর স্মৃতি ঘিরে আছে, তাকে,
আঁধার লহরীর নীল সাজানো আকাশ ছুঁয়ে
জোছনা ভাঙা বালুচরে হারিয়ে যাওয়া,
মনে পড়ে যায় ফেলে আসা পথ পেরিয়ে, সোনালী প্রহর

তবুও সবুজ পথ পেরিয়ে, অসীম ছায়াপথ নিমেষে ছাড়িয়ে,
অবাক বিস্ময়ে।
জীবন স্নৃতি যেন এলোমেলো হয়ে উড়ে যায় একই পলকে,
একই নিমেষে।

তোমায় স্বাগত জানাই, ঝড়া পাতার মত সন্ধ্যায়,
আলোময় বিচরন, দ্বিতীয় জীবন,
ছায়াময় মননে, অবাক নয়নে,
ছায়া সুনিবিড়, বিস্ময়ে দেখি,
দ্বিতীয় জীবন, দ্বিতীয় জীবন।

নদী

গাঁয়ের পাশে ছোট্ট নদী,
স্বপ্ন মাঝে হারাই যদি,
সেই নদীটা ছন্দে হাসে
নিরবধি,
ভালবাসে।

ভরা গাঙ্গে ভরা নাঁওয়ে
মাতাল চিরন্তন
সত্যমতে পাপের খেলায়
অবাধ আগমন।

মনে মনে ভীষণ খেলা
কথার ফাকে মনের মেলা,
সেই মনেতে ছন্দে হাসে
নিরবধি।
ভালবাসে।

দিনে রাতে
নদীর বুকে
কালের দীর্ঘশ্বাস
সরল দেহে
জলের ধারা বহে বার মাস।

আমার নদী আমার রইল
অচীন অথই ঢেউ,
পাষাণ সময় স্রোতের তোড়ে
ভাসল না ত কেঊ।
জলে জলে ঢেউ এর মাতম
আকাশ পানে মেঘের কথন,
সেই মেঘেরা ছন্দে হাসে
নিরবধি,
ভালবাসে।

হাসিমুখ

প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালায়
হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

রোদ উঠে গেছে তোমাদের নগরীতে
আলো এসে থেমে গেছে তোমাদের জানালায়,
আনন্দ হাসিমুখ, চেনা চেনা সবখানে
এরই মাঝে চল মোরা হারিয়ে যাই।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
অনেক অজানা ভীড়ে স্বচ্ছ নিরবতায়,
রোদ উঠে, গেছে চেনা এই নগরীতে নাগরিক জানালা
হাসিমুখে একাকার।
আনন্দ উৎসব চেনাচেনা সবখানে,
এরই মাঝে আমাদের ছুটে যাওয়া দরকার।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

শহরের কথা




শহরের কথা ঊঠলে একটা জনসমুদ্র চলে আসে,
রাস্তা মানেই অবারিত নদী,
গনমানুষের জোয়ার ভাটার টানে ব্যস্ততা আর
ঘরে ফেরা নিয়ে যদি……
গান লেখা হয়,
গানের শরীরে শহরের ছবি ভাসে।

শহর মানেই আমরা একটা গণআদালত বুঝি,
শহুরে ক্লাউন গাছগুলো জুরি,
সংস্কৃতির বেদম বিচার জানে
জোছনা রাতে চাঁদের চরকা বুড়ী,
বিচারে রায়ে আমরা সবাই হাত পা হৃদয় খুঁজি।

জনসাধারন শহরের যত খাদ্য গুদাম চেনে
ব্যাংকগুলো সব যৌথখামার;
সাদা কালো নোট চাষাবাদের মানে
বেঁচে থাকার ইচ্ছে তোমার আমার।
শহুরে আড্ডা, শহুরে ভাষা
শহরের কথা জানতে আসা
শহুরে লোকের সবই জানা
শহর মানেই চিড়িয়াখানা।
শহুরে শিল্পী ভারী চৌকষ
শিল্পের ঝোপঝাড়ে আপোষ
নাটক কবিতা ছোট ছোট সুখ
শহর মানেই ভেঙ্গে যাওয়া বুক।

রাস্তায় একফালি নিঃশ্বাস
অন্ধ শহরে ছুটে চলা বাস
হাউজিং জ্যামে আকাশ অল্প
শহর মানেই গ্রামের গল্প।


শুভ্র রঙ্গীন

শুভ্র রঙ্গীন,
আকাশের দিন,
তোমায় সেই জনতার গল্প শোনায়।

অলস দুপুর
ক্লান্ত নুপুর,
স্বপ্ন দেখায় তারায় তারায় ।।

স্বপ্ন দেখি
সবুজ নিশান
তোমায় নিয়ে জলসা দেখা।
লড়াই যেমন
ঝড়ের রাতে
হেরে গেলেও বাঁচতে শেখা।

শুভ্র রঙ্গীন,
আকাশের দিন,
তোমায় গল্প শোনায় সেই জনতার।
লড়াই শেখায়
তোমায় আমায়,
“come on baby light my fire”

তোমায় দেখে
কাঠবেড়ালী,
লেজ উঁচিয়ে আদর চায়।
গোধূলী নাচে
রাঙ্গা আলোয়
বাঁচার নেশায়, মুক্তি পায়।।
মুক্তির দিন,
রঙ্গিন রঙ্গিন
মেলে পাখা, জেগে থাকা
আগুন রঙ্গিন
রক্তের দিন
তোমায় নিয়ে বাঁচতে শেখা।
শুভ্র রঙ্গীন,
আকাশের দিন,
তোমায় গল্প শোনায় সেই জনতার।
লড়াই শেখায়,
তোমায় আমায়
“come on baby light my fire.”

শিরোনামহীন

হয় না আর এমনতো হয় না
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

সূর্য লাল বৃক্ষ সবুজ,
আমি কান্দি ঘরের কোনায়, তুমি অবুঝ।
বৃক্ষ আকাশ সূর্য মিলে
ঝরনার কথা কয় না,
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

মেঘ কালো আধার কালো
মৃত্যুর বুঝি মরন হলো।
উদাস আকাশ, উত্তাল বাতাস
পথের বাঁকে রয় না
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

মেঘের নৃত্য তারার মেলা
সোঁদা মাটি রাঙ্গা আলোয় বৃষ্টির খেলা।
তোমার অশ্রু আমার চলা
একতারেতে রয় না
সাগর জলে ঝরনার চলন মনের কথা কয় না।

লাল নীল গল্প

এখনই সময়
পাড়ি দিতে দিগন্ত
কত দূর যেতে হবে?
সীমানা অজানা
অচেনা পথে
কত দূর যেতে হবে?
যেতে পার তোমরাও
যেতে পার বহুদূর
জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয়
বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে
নাগরিক সংকট ছাড়বে না তোমায়।

লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায়
তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়।
গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায়
সীমানার সংঘাত ছাড়বে না, ছাড়বে না তোমায়।

লাল নীল লাল গল্পে
ছন্দে গল্পে যাবে যদি অজানায়
যেতে পার তুমি, সংগী রাজপথ
যাবে যদি সীমানায়
বন্ধু তুমি জান যেতে হবে কত দূর
কত দূর বহুদূর
যেতে হবে কতদূর?

যেতে পার তোমরাও
যেতে পার বহুদূর
জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয়
বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে
নাগরিক সংকট ছাড়বে না তোমায়।

লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায়
তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়।
গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায়
সীমানার সংঘাত ছাড়বে না ছাড়বে না তোমায়।

নিশ্চুপ আধার

উড়তে কি পারো বন্ধু আমার?
ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল?
গাইতে কি পারো তুমি আমার গান?

শুনতে কি পারো তুমি আমার কান্না?
দেখতে কি পারো নিঃস্ব প্রাতে
নিঃসঙ্গ মোর একলা চলা ।

ভাসতে কি পারো তুমি আমার সুরে
বুঝতে কি পারো তুমি আমার কথায়?
মিথ্যার বেসাতিতে তোমার জগৎ ।

র্স্পশ করো তুমি আমার কষ্ট
মেঘদল হতে আনো সূর্য সকাল
গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান ।

আমি তাকিয়ে রই, নীল আদিগন্ত
মানুষ ভরা খোলা প্রান্তরে,
আর চেয়ে দেখি, তোর খোলা চুলে
ভেসে যায় আমারি স্বপ্নগুলো ।
নিশ্চুপ আধারে ।

তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, যত ইচ্ছে সাজা মেঘমালা
তুই চেয়ে দেখ কত মানুষ, পথে নেমে ভুলে যা কষ্ট
তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, তুই বেঁচে থাক নিয়ে আশা
তুই দেখ তোরি মত মানুষ, তুই গেয়ে যা তারই ভাষায়
আমি তাকিয়ে রই খোলা প্রান্তরে, তুই যা, যা ভুলে যা সবই ।

উড়তে কি পারো বন্ধু আমার?
ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল?
গাইতে কি পারো তুমি আমার গান?

ভাসতে কি পারো তুমি নীল জোছনায়?
শুনতে কি পারো মোর প্রিয়ার ঠোটে?
অচেনা আলোর এক মুক্ত বয়ান ।

ভাঙ্গতে কি পারো তুমি দেবতার ঘুম?
দেখতে কি পারো তুমি আমার চোখে?
অক্ষম চিৎকারে বাঁচার নেশা

অগ্নিকন্ঠ হোক তোমার শব্দ
অতল নরকে সাজো তোমার বাসর
গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান ।

ঘুম

কথা ছিলো সূর্যের মৃত্যুকালে ছিনাবি তাহার আত্মা ।
কথা ছিলো নীল মেঘ হতে নিয়ে আসবি যন্ত্রনা ।
কথা ছিলো পাপ হতে ধুয়ে ফেলবি তোর শঙ্খ শরীর ।
কথা ছিলো সাঁঝকালে ভালবাসবি মোর নীরজাকে ।
শুয়ে শুয়ে হাত পাতি আধার মাঝে
যদি ঝরে পড়ে তোর অশ্রু ।
কান পাতি শব্দহীন অলিক চরাচর
যদি ভেসে আসে তোর আহবান ।

ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি দাসত্বের সহস্র বছর
ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি মৃত্যু শিয়রে শুনছে প্রহর

কথা ছিলো মোর অপরাধের তরীতে ভাসাবি তোর সস্ত্বা ।
কথা ছিলো অর্থহীন চুম্বণ পাবে নতুন সময় ।
কথা ছিলো পঙ্কিল সাগর হতে নিয়ে আসবি আমায় ।
কথা ছিলো আজন্ম অমাবস্যার মৃত্যু এখনি ।

শুনে দেখি কান দিয়ে শুধু শূন্যতা
ছুঁয়ে দেখি চোখ দিয়ে, প্রিয়া অন্যথা
র্নিবান যন্ত্রনায় লাশকাটা ঘরে
ঘুমোও আমার মানুষ ।

শূণ্য

আমার ঘরে জন্ম হলো
আমার ঘরেই বসবাস
ঘরের আলোয় আমার সর্বনাশ ।
ছিলো ঘরে তেলের প্রদীপ, টিমটিমে তার আলো
ভরসা ছাড়াই জীবন সুধা,
আমার ঘরের আধার কোণে
লুকিয়ে থাকাই ভালো ।
আধার আমার তেল ফুরালে, সন্ধ্যে নিয়ে আসে
বারো মাসে সতেরো জীবন, বছর ঘুরে থামলো যখন
আমায় ভালবাসে……….আমায় ভালবাসে

সিড়ি ভেঙ্গে এ ওর বোঝা, করলো হাতবদল
আমার বোঝা কে যে নিলো, কোন সে চেনা মুখ
জীবন ভরে বোঝার পাহাড়,
জীবন ভরে বো ঝা র পাহাড়
জীবন ভরে বোঝার পাহাড়, বারো মাসে সোনার হরিণ
পেলাম না যে সুখ ।
ঘরের আলোয় আমার সর্বনাশ ।

আমার ঘরে দশটি সিড়ি, নয়টি তারই ভাঙ্গা
সিড়ি গেলো আকাশ পানে, আমি যখন অতল জলে
খুঁজছি শুকনো ডাঙ্গা ।

বদলে বোঝা সেই……………
চেনা ঘরে ঢুকে দেখি,
পায়ের নিচে মাটি নেই,
মাটি নেই ।

জাহাজী

চেনা শহর, চেনা রাস্তা, পরিচিত ঢাকা
ভেসে যাচ্ছি চোখে আলো জ্বেলে, জাহাজীর মত একা
ঝরে চুন-সুড়কি, শরীরের দেয়াল
তবু সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে, অনেক উঠেও থেমে,
শেষ ছাদটায় দেখি নীল,
এরই মাঝে নক্সা , সাদা আলোর সাদা শঙ্কচিল ।
জাহাজীর কাছে ভীষণ সত্য সেই,
পথটাই যাওয়া, এর আর কোন ফিরে আসা নেই ।

পথের ধারে দাড়িয়ে আছে, শুকনো দালান
দোকানের নাম, তারপর, আমাদের ভুবনে স্বাগতম ।
ঝরে বৃষ্টি কারো ভুবনে, তবু নিয়ন সাইনে স্বাগতম ।
আ মা দে র , তারপর ; ভু ব নে ,
তারপর ; স্বা গ ত ম ।
বুঝতে কিছু সময় লাগে সেই,
স্বাগতমটাই ইচ্ছে, সস্তায় কারা বিক্রি করে দিচ্ছে ।

আমার শৈশবের মত দামী, আমার কান্না জড়ানো গান,
মাথা উচু সেইন্ট গ্রেগরী আমার, সময়ের টানে ম্লান ।
আমার পরিচিত লাস্ট বাস, আমার ভাঙ্গাচোরা নিঃশ্বাস,
ব্রাদার চার্লসের চুইংগাম, আমার রক্ত আমার ঘাম,
আমার লাস্ট বাসে বাড়ি ফেরা, মাথা তুলবার তাড়া,
আমার জাহাজের পাটাতন, ছেড়া নোঙর, ছেড়া মন,
ছেড়া নোঙর…………………………..

জাহাজীর আর বোঝার বাকী নেই
পথটাই যাওয়া , এর আর কোন ফিরে আসা নেই ।

Sunday, 22 July 2012

মুঠোফোন

ব্যস্ত দিনের শেষে
তোমার প্রিয় মুখ।
তোমার ভাবনা
শব্দময় যখন,
আশ্রয় আমার রাজ্যের ব্যস্ততা।
নিয়ন আলোয় স্বাগতম, মুঠোফোন।
একে একে সব,
তোমার কলরব,
তোমার কন্ঠ শব্দময় যখন,
ভাবনার রাস্তায় সবুজ সিগনাল জ্বেলে
সংকেত।

আশ্বাস চাই অজস্র সংলাপ যখন তখন,
ভালোবাসায় আজ শব্দের নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকা মুঠোফোন।
wap service খুঁজে মুঠোফোনে চলে যাক,
ভালবাসার উপহার।
মুঠোফোনে শুনে যাই রিমঝিম রিমঝিম
কন্ঠ তোমার।

একে একে সব,
তোমার কলরব,
তোমার কন্ঠ শব্দময় যখন,
ভাবনার রাজপথে সবুজ সিগনাল জ্বেলে সংকেত।

যদিও দীর্ঘদিন
আবার নতুন করে
তোমার মুঠোফোন
অবিরাম অবসরে,
ভাবনা আমার ছুটছে তোমার আশে পাশে,
পৌঁছে দেবে অক্লান্ত মুঠোফোন।।

গোধূলী

দিগন্ত জুড়ে নিলীমা মাঝে
পলাতক সময় করে পরিহাস
স্তব্ধ নিঃশ্বাস দূরে ঠেলে
আসি আমি ফিরে বারে বার।
ছুঁয়ে যাই আবারও হারাই
একই আকাশের গোধূলীতে।
অনন্ত পতন, অনন্ত সময়
একই ভাঙ্গনের কথা একই পথ,
আমারই জন্য সহস্র সূর্য
দেবে একই আলো চিরকাল।
ছুঁয়ে যাই আবারও হারাই
একই আকাশের গোধূলীতে।
আমি বুঝিনা কেন,
একই মাটিতে কেন এত রক্তের রং খেলা।
আমি জানিনা কেন,
একই মানুষের একই স্পর্শে কেন এত ছোঁয়া।
আমি জড়িয়ে যাই এ মায়াজালে,
পরাধীনতার এ বাঁধন,
তবু যেতে চাই স্বপ্নের আলোয়,
সকল বাঁধা ভেঙ্গে আলো-ছায়ায়।

ট্রেন

কিছুটা জেনে, কিছুটা না জেনে
আঁধার নামা পুরনো শহরে
প্ল্যাটফরম ছুয়ে ক্লান্ত দেহে
অভিমানী পদচিহ্ন রাখে
অভিমানী এক ট্রেনে
করিডর ধরে হেঁটে যায়
একা একা স্বপ্ন অচেনা
জানালার বুকে চোখ জুড়ে
সুদূরের আনন্দনগর ……
ধীরে ধীরে ভেসে যায় চোখে শেষ প্রিয়মুখ
তবু যদি থেমে যায় সব কল্পনা
ছুঁয়ে দেখা স্মৃতি আর ছুঁয়ে দেখা আঁধার
ভেবে নেয়া শহরের ফেলে আসা পথ

প্রান্তর




ছেলেবেলায় ……
ফেলে আসা দীর্ঘশ্বাস
অকারণে কথা বলা
আমার পথচলা

সেই কবেকার হারিয়ে যাওয়া
ঘুড়ি সূতোয় ছন্দমাখা
ছেলেবেলা

দেখি ……
এ খোলা প্রান্তরে
স্বপ্ন আমারই ভেসে যায়
দু’চোখে ……

স্বপ্ন দেখার একদিন
স্মৃতির মিছিল নিয়ে এই অবেলায়
গল্প বলার কোনদিন
পুরনো সংলাপে অনেক অজানায়

ছেলেবেলায় ……
ফেলে আসা পথ ধরে
অকারণে কথা বলা
অকারণে পথ চলা

সেই কবেকার দুপুরবেলা
চুপিচুপি ঘুম পালানো
ছেলেবেলা।


গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।।
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে, পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে।
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে; যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে, কোন্খানে কী দায় ঠেকাবে–
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে।।

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়, না মানে সান্ত্বনা।।
সুখ-আশে দিশে দিশে বেড়ায় কাতরে–
মরীচিকা ধরিতে চায় এ মরুপ্রান্তরে।।
ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, সন্ধ্যা হয়ে আসে–
কাঁদে তখন আকুল-মন, কাঁপে তরাসে।।
কী হবে গতি, বিশ্বপতি, শান্তি কোথা আছে–
তোমারে দাও, আশা পূরাও, তুমি এসো কাছে।। ।

কিছু বলব বলে এসেছিলেম

কিছু বলব বলে এসেছিলেম,
রইনু চেয়ে না বলে।।
দেখিলাম, খোলা বাতায়নে মালা গাঁথ আপন-মনে,
গাও গুন্-গুন্ গুঞ্জরিয়া যূথীকুঁড়ি নিয়ে কোলে।।
সারা আকাশ তোমার দিকে
চেয়ে ছিল অনিমিখে।
মেঘ-ছেঁড়া আলো এসে পড়েছিল কালো কেশে,
বাদল-মেঘে মৃদুল হাওয়ায় অলক দোলে।।

যেতে যেতে একলা পথে

যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি।
ঝড় এসেছে ওরে ওরে, ঝড় এসেছে ওরে এবার
ঝড়কে পেলেম সাথি॥
আকাশকোণে সর্বনেশে ক্ষণে ক্ষণে উঠছে হেসে,
প্রলয় আমার কেশে বেশে করছে মাতামাতি॥
যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম ভুলিয়ে দিল তারে,
আবার কোথা চলতে হবে গভীর অন্ধকারে।
বুঝি বা এই বজ্ররবে নূতন পথের বার্তা কবে—
কোন্ পুরীতে গিয়ে তবে প্রভাত হবে রাতি॥

তুমি কি কেবলই ছবি

তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মত সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি।।
নয়নসমুখে তুমি নাই,
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই– আজি তাই
শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।
নাহি জানি, কেহ নাহি জানে–
তব সুর বাজে মোর গানে,
কবির অন্তরে তুমি কবি–
নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি।।

শুধু তোমার বাণী নয় গো

শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়,
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো॥

সারা পথের ক্লান্তি আমার সারা দিনের তৃষা
কেমন করে মেটাব যে খুঁজে না পাই দিশা—
এ আঁধার যে পূর্ণ তোমায় সেই কথা বলিয়ো॥

হৃদয় আমার চায় যে দিতে, কেবল নিতে নয়,
বয়ে বয়ে বেড়ায় সে তার যা-কিছু সঞ্চয়।
হাতখানি ওই বাড়িয়ে আনো, দাও গো আমার হাতে—
ধরব তারে, ভরব তারে, রাখব তারে সাথে,
একলা পথের চলা আমার করব রমণীয়॥

বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি

বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি
করেছি কতই আর্তনাদ
দু:চোখের জলে ভাসাবো বলে
তোমাকে আজ কাঁদাবো বলে
মেঘের ডানায় পাঠিয়ে দিলাম
আমি হাজার বর্ষা রাত…

দক্ষিণা বাতাসে তোমার
ভীরু দীর্ঘশ্বাস
আঁধার ঝড়াবে আমার
প্রিয় সর্বনাশ ।।
মেঘের ডানায়
পাঠিয়ে দিলাম
হাজার বর্ষা রাত…

জানালার ওপাশে তোমার
দৃষ্টি বহুদূর
ছুঁয়েছে এ গান আমায়
কান্না সাত সুর ।।
মেঘের ডানায়
পাঠিয়ে দিলাম
আমি হাজার বর্ষা রাত…

তোমার জন্য

তোমার জন্য নীলচে তারার একটু খানি আলো
ভোরের রঙ রাতের মিশকালো।
কাঠগোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো

ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে

তোমার জন্য এতোগুলো রাত অধীর জেগে থাকা
তোমায় ঘিরে আমার ভালো লাগা
আকাশ ভরা তারার আলোয় তোমায় দেখে দেখে
ভালবাসার পাখি মেলে মন ভোলানো পাখা।

তুই কি জানিসনা তোর জন্য কান্না

তুই কি জানিসনা তোর জন্য কান্না
ভোরের ঘাসের ঠোটে শিশির হয়ে ছুটে,

জানিস না কি তুই ঠিক যখনই ছুই
তোর চোখের পাতা চুল অমনি ফুটে ফুল ।।

তুই নেই বলে পাতা গুলো সব ফাঁকা
তুই নেই বলে মন শুধু করে খাখা ।।

তুই নেই বলে একলা শালিক ডাকে
তুই নেই বলে মধু নেই মৌচাকে
তুই নেই তাই মেঘ কাঁদে হয় জল
তুই আসবি আসবিটা কবে বল?

তুই কাছে নেই তাই বিছ্ছিরি লাগে রাত বিচ্ছিরি লাগে দিন
বিচ্ছিরি লাগে সাধ, বিচ্ছিরি লাগে দিন ।।

তবু তুই রয়েছিস বলে,তবু তুই রয়েছিস বলে
ঘাসফুলে জল দোলে।।

তবু তুই রয়েছিস তাই তারাদের রোস নাই
তবু তুই রয়েছিস জানি স্বপ্নের হাতছানি ।।

সুরে দূর থেকে ডাকে মেঠো রাস্তার বাকে
তুই রয়েছিস তাই ওদের সাথে যাই…

গাড়ি চলে না চলে না

গাড়ি চলে না চলে না,
চলে না রে, গাড়ি চলে না।
চড়িয়া মানব গাড়ি
যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি
মধ্য পথে ঠেকলো গাড়ি
উপায়-বুদ্ধি মেলে না।।

মহাজনে যতন করে
তেল দিয়াছে টাংকি ভরে
গাড়ি চালায় মন ড্রাইভারে
ভালো-মন্দ বোঝে না।।

ইঞ্জিনে ময়লা জমেছে
পার্টসগুলো ক্ষয় হয়েছে
ডাইনামো বিকল হয়েছে
হেডলাইট দুইটা জ্বলে না।।

ইঞ্জিনে ব্যতিক্রম করে
কন্ডিশন ভালো নয় রে
কখন জানি ব্রেক ফেল করে
ঘটায় কোন্‌ দুর্ঘটনা।।

আব্দল করিম ভাবছে এইবার
কোন্‌ দিন গাড়ি কি করবে আর
সামনে বিষম অন্ধকার
করতেছে তাই ভাবনা।।

সব আলো নিভে যাক আঁধারে

সব আলো নিভে যাক আঁধারে
শুধু জেগে থাক ঐ দূরের তারা রা
সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়
শুধু জেগে থাক এই সাগর আমার পাশে
আহা হা হা আহা হা…………….।।
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক সহজ অবাক দৃষ্টিতে
থমকে দাঁড়িয়েছে মহাকাল এখানে
আহা হা হা আহা হা…………….।।
শুভ্র বালির সৈকতে এলোমেলো বাতাসে গীটার হাতে
নিস্তব্ধতা চৌচির উম্মাদ ঝংকারে কাঁদি
অবাক সুখের কান্না যেন চুনি হীরা পান্না
সাগরের বুকে আল্পনা এঁকে দিয়ে যায়
অবাক ভালোবাসায়……..
অবাক ভালোবাসায়……..।।
সব আলো নিভে যাক আঁধারে
শুধু জেগে থাক ঐ দূরের তারা রা
সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়
শুধু জেগে থাক এই সাগর আমার পাশে
আহা হা হা আহা হা…………….।।
সব কষ্ট বয়ে যাক সুখের ঝড়
হৃদয় ভরে যাক সহজ মিল স্বপনে
হৃদয় গভীরে অবাক দৃষ্টিতে
থমকে দাঁড়িয়েছে মহাকাল এখানে
আহা হা হা আহা হা…………….।।
শুভ্র বালির সৈকতে এলোমেলো বাতাসে গীটার হাতে
নিস্তব্ধতা চৌচির উম্মাদ ঝংকারে কাঁদি
অবাক সুখের কান্না যেন চুনি হীরা পান্না
সাগরের বুকে আল্পনা এঁকে দিয়ে যায়
অবাক ভালোবাসায়……..
অবাক ভালোবাসায়……..।।

ফিরিয়ে দাও আমার প্রেম

নিঃস্ব করেছ আমায়
কি নিঠুর ছলনায়
তুমি হীনা এ হৃদয় আমার
একাকী অসহায়

পেয়ে হারানোর বেদনায়
পুড়ে চলেছি সারাক্ষণ
কেন তুমি মিছে মায়ায়
বেঁধেছিলে আমায় তখন ?

ফিরিয়ে দাও আমার প্রেম
তুমি ফিরিয়ে দাও
ফিরিয়ে দাও হারানো দিনগুলো
এ ভাবে চলে যেও না

আমার হৃদয়জুড়ে
শুধু তুমি ছিলে
যত সুখ ছিল মনে
কেন মুছে দিলে ?

পেয়ে হারানোর বেদনায়
পুড়ে চলেছি সারাক্ষণ
কেন তুমি মিছে মায়ায়
বেঁধেছিলে আমায় তখন ?

অকারণ অভিমানে
তুমি চলে যেও না
মায়াবী এ বাঁধন ছিঁড়ে
দূরে সরে যেও না

পেয়ে হারানোর বেদনায়
পুড়ে চলেছি সারাক্ষণ
কেন তুমি মিছে মায়ায়
বেঁধেছিলে আমায় তখন ?

তুমিহীনা দুপুরে নগরীর গতিময়তায়

তুমিহীনা দুপুরে নগরীর গতিময়তায়
অশান্ত এ দুচোখে যা দেখি অচেনা
সময় এসে চলে যায় ঘড়ির কাঁটার ব্যস্ততায়
তুমি আসবে বলে তাই পথ চেয়ে থাকি অস্থিরতায়(২)
বলো তুমি এমন কেন একবার দেখে যাও
যদি এসে চলে যাও আমি আছি যাবো না কোথাও
বলো তুমি এমন কেন একবার দেখে যাও
যদি এসে চলে যাও আমি আছি যাবো না কোথাও(২)

রোদজ্বালা এ দুপুরে অস্থির লাগে আমার এ মন
আবেগী মনে আজ মৌনতার আয়োজন
আলো ছায়ার মায়াতে মোহনীয় এই শূণ্যতা
তুমি আসবে বলে তাই হবে স্বপ্নের সবই পূর্ণতা
বলো তুমি এমন কেন একবার দেখে যাও
যদি এসে চলে যাও আমি আছি যাবো না কোথাও
বলো তুমি এমন কেন একবার দেখে যাও
যদি এসে চলে যাও আমি আছি যাবো না কোথাও

বিকেলের এ প্রহর কাটেনা অপেক্ষায়
এ সময় থেমেছে তোমারই এ শূণ্যতায়

তারাগুলো রাত জেগে তোমাকে পথ দেখাবে
আমার এই প্রার্থনা কিভাবে তুমি ফেরাবে
তুমি যদি না-ই আসো অপেক্ষা শেষ হবেনা
তুমি যদি না-ই আসো কখনো ভোর হবেনা
বলো তুমি এমন কেন একবার দেখে যাও
যদি এসে চলে যাও আমি আছি যাবো না কোথাও
বলো তুমি এমন কেন একবার দেখে যাও
যদি এসে চলে যাও আমি আছি যাবো না কোথাও

মহারাজ

সমাজ শিখরে আজ তুমি একা
রিক্ত কামনায় অহমের মায়াজালে
সকল ভালোবাসা পদলিত করে
মানবতার যত বন্ধন ছিড়ে ফেলে(২)
ক্ষমতার নিয়মে দেয়াল তুলে
জনতাকে বেদনায় ভাসালে
ক্ষমতার পেছনে যাদের স্মৃতি
অবসরেও কি পরে মনে……
হে মহারাজ, এসো আমাদের সমতলে
পাবে জীবন, যাকে বহুদুর গেছফেলে
প্রানে জোয়ার, আছে জনতার এ ভুবনে
হে মহারাজ………

তোমার দুপাশে মিথ্যে গুণবাহী
দেবে কি বাঁধার আশা জনতার এনিরলে
রবে কি জনগন রাজপথের কাঁটা
যারা তোমায় ভালোবেসেছে মনে প্রানে
হে মহারাজ………

ক্ষমতার নিয়মে দেয়াল তুলে
জনতাকে বেদনায় ভাসালে
ক্ষমতার পেছনে যাদের স্মৃতি
অবসরেও কি পরে মনে……
হে মহারাজ, এসো আমাদের সমতলে
পাবে জীবন, যাকে বহুদুর গেছফেলে
প্রানে জোয়ার, আছে জনতার এ ভুবনে
হে মহারাজ………
হে মহারাজ, এসো আমাদের সমতলে
পাবে জীবন, যাকে বহুদুর গেছফেলে
প্রানে জোয়ার, আছে জনতার এ ভুবনে
হে মহারাজ………(২)

রাজাহীন রাজ্য

চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে
যদি চাও রাঙিয়ে দাও এই স্বচ্ছ জল
গড় বর্ণহীন রংধনু
চাইলে তুমি বুনতে পার স্বপনের রঙিন জাল
যদি নাওবা থাকে স্বপ্ন অপূর্ন
চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে
চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে

চাইলে তুমি দিনকে বলতে পার চাঁদের কারাগার
ঝরাতে পারো অশ্রু উত্তপ্ত সূর্য হতে
যদি চাও তুমি গুনতে পার অগনিত তারা
মুছে দিতে পার তুমি রাতের অন্ধকার
চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে
চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে

চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে
চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে
চাইলে তুমি হারিয়ে যাও রাজাহীন কোন রাজ্যে
জন শূন্য কোন প্রাচ্যে

লাল শাড়ি

ঐ লাল শাড়ি রে
নিশি রাতে যায় কোন বনে -লাল শাড়ি রে
চুল ভিজিয়ে সুগন্ধী তে – লাল শাড়ি রে
যায় ছুটে মিলনের সারে – লাল শাড়ি রে
ঐ লাল শাড়ি রে

রিনি ঝিনি মল বাজে পায়
চোখের ঘুম্ হারায় রে
না জানি কোন গায়ের তরণী
নিশি বিয়ার সাজে যায় রে

ঐ লাল শাড়ি রে
নিশি রাতে যায় কোন বনে -লাল শাড়ি রে
যায় ছুটে মিলনের সারে – লাল শাড়ি রে
ঐ লাল শাড়ি রে

শিশির ভেজা ঘাস মাড়িয়ে
যায় নিঝুম আঁধারে
খোঁপার সুবাশ বকুল মালার
গন্ধে মন হারায় রে ।।

ঐ লাল শাড়ি রে
নিশি রাতে যায় কোন বনে -লাল শাড়ি রে
চুল ভিজিয়ে সুগন্ধী তে – লাল শাড়ি রে
যায় ছুটে মিলনের সারে – লাল শাড়ি রে
ঐ লাল শাড়ি রে

সে যেনোই চোখে বলে

সে যেনোই চোখে বলে
সে নীরব দেখে চেয়ে
সে মানে না কোন বাঁধা
সে অবুঝ বোঝে না যে
ও ও ও ও প্রেম ……
যে বোঝে শুধু সোনালী দিন
যে প্রেম যা সকলে জানে

সেই প্রেম যেনো ছুঁতে চায়
বেদনার দিন যেনো
নীরবে জোয়ার আনে
হায় ভেংগে যায় প্রেমের বাঁধণ
কি এক জটিলতা !!!

তবু মুখে তার সুখের সাধন
এ যেনো লীলা খেলা
হায় প্রেম……ম ম ম ম ……প্রেম

সে যেনোই চোখে বলে
সে নীরব দেখে চেয়ে
সে মানে না কোন বাঁধা
সে অবুঝ বোঝে না যে
ও ও ও নীল সাগরে হেঁটে যায়
সে নীল শাড়ি পড়ে
সেই নীল আকাশের ছাঁয়া ভেবে যাই
নীল ছাঁয়া নীড়ে

যেনো চোখে তার স্মৃতির মায়া
কোন সু…দূরে
যেনো মনে হয় প্রেমের পাওয়া
আজ সবই মিছে
হায় প্রেম……ম ম ম ম ……প্রেম

প্রেম যে বোঝে শুধু সোনালী দিন
যে প্রেম যা সকলে জানে
সেই প্রেম যেনো ছুঁতে চায়
বেদনার দিন যেনো
নীরবে জোয়ার আনে
হায় ভেংগে যায় প্রেমের বাঁধণ
কি এক জটিলতা !!!

তবু মুখে তার সুখের সাধন
এ যেনো লীলা খেলা
হায় প্রেম……ম ম ম ম ……প্রেম
ও ও ও নীল সাগরে হেঁটে যায়
সে নীল শাড়ি পড়ে
সেই নীল আকাশের ছাঁয়া ভেবে যাই
নীল ছাঁয়া নীড়ে

অভিমানী তুমি কোথায় হারিয়ে গেছ

অভিমানী
তুমি কোথায় হারিয়ে গেছ
তুমিই তো বোঝাবে ………লা লা লা
তুমিই তো মানাবে……..লারা লারা লারা………উ

বহু দিন পড়ে
দেখা হলো দু’জনায়
অভিমান রেখো না
অভিমান রেখে
কি হবে বলো না
তুমি কিছু বোঝ না ।

অভিমানী
তুমি কোথায় হারিয়ে গেছ
তুমিই তো বোঝাবে ………লা লা লা
তুমিই তো মানাবে……..লারা লারা লারা………উ

তুমি কি মোরে
রেখেছ বাসনায়
একবার বল না
এতকাল ধরে
থেকেছ কি ছলনা
নাকি ভালবাস না

অভিমানী
তুমি কোথায় হারিয়ে গেছ
তুমিই তো বোঝাবে ………লা লা লা
তুমিই তো মানাবে……..লারা লারা লারা………উ

আমি যারে চাই রে

আমি যারে চাই রে
সে থাকে মোরে অন্তরে ।।
আমি তারে পেয়ে ও হারাই রে

এই আছে এই নাই,
অন্তরে নিয়েছে ঠাই;
বিরাজ করে সে ভূবনে ।।
আমি তারে পেয়ে ও হারাই রে

ভক্তিতে মুক্তি,
জ্ঞানেই শক্তি ;
বাসনা পূর্ন হবে সাধনে ।।
আমি তারে পেয়ে ও হারাই রে

আমি যারে চাই রে
সে থাকে মোরে অন্তরে ।।
আমি তারে পেয়ে ও হারাই রে

সারা রাত জেগে জেগে

সারা রাত জেগে জেগে
কত কথা আমি ভাবি
পাপড়ি কেন বোঝে না
তাই ঘুম আসে না ।।

তুমি আমি কেন দূরে দূরে
খুজে বেড়াই ঘুরে ঘুরে ।।
মন কি যে চায়
কাটে শুধু বেদনায় ।।
পাপড়ি কেন বোঝে না
তাই ঘুম আসে না ।।

এই মায়া ভরা পৃথিবী ছেড়ে
চলে যাব চিরতরে ।।
সবাই চলে যায়
কতটুকুই বা পায়
পাপড়ি কেন বোঝে না
তাই ঘুম আসে না ।।

সারা রাত জেগে জেগে
কত কথা আমি ভাবি
পাপড়ি কেন বোঝে না
তাই ঘুম আসে না ।।

আলাল ও দুলাল

আলাল ও দুলাল
আলাল ও দুলাল
তাদের বাবা হাজি চান
চানখা পুলে প্যাডেল মেরে পৌছে বাড়ী
আলাল ও দুলাল

আলাল যদি ডাইনে যায়
দুলাল যায় বায়ে
তাদের বাবা সারাদিন খুঁজে খুঁজে মরে ।।
আলাল কই
দুলাল কই
নাইরে নাইরে নাইরে নাই
আলাল ও দুলাল, আলাল ও দুলাল
তাদের বাবা হাজি চান
চানখা পুলে প্যাডেল মেরে পৌছে বাড়ী
আলাল ও দুলাল

আলাল যদি ডালে থাকে
দুলাল থাকে চালে
পাড়াটারে জ্বালায় তারা সারাটা দিন ধরে
আলাল কই
দুলাল কই
নাইরে নাইরে নাইরে নাই
আলাল ও দুলাল, আলাল ও দুলাল
তাদের বাবা হাজি চান
চানখা পুলে প্যাডেল মেরে পৌছে বাড়ী
আলাল ও দুলাল, আলাল ও দুলাল; আলাল ও দুলাল……

Saturday, 21 July 2012

ও চাঁদ সুন্দর

ও চাঁদ সুন্দর রূপ তোমার
তার চে রূপে রাংগা প্রিয়া আমার
প্রিয়া আমার ।।

সাদা মেঘ যায় উড়ে নীল গগনে
তারই মাঝে চাঁদ ভাসে আপন মনে ।।
মায়া ভরা রূপের বাহার
তারচে মায়াবি প্রিয়া আমার,
প্রিয়া আমার ……

ও চাঁদ সুন্দর রূপ তোমার
তার চে রূপে রাংগা প্রিয়া আমার
প্রিয়া আমার ।।

যখন থাকে আমাবশ্যা ভীষণ অন্ধকার
তখন বুঝি চাঁদের আলো সবটুকুই ধার
আমার প্রিয়ার গুনের আলো নিজস্বই তার
আধার রাতে সময় হয় মালা গাথিবার

স্মৃতি ঘেরা ফুলের বাহার
নতুন চাঁদের আগমনে দেয় উপহার
ও চাঁদ সুন্দর রূপ তোমার
তার চে রূপে রাংগা প্রিয়া আমার
প্রিয়া আমার ।।

পূর্নিমায় চাঁদের আলো ত্রি-ভূবনে
দু’জনায় প্রেমে মাতি ফুল বাগানে ।।
স্বপ্ন ঘেরা প্রেমের বাহার
তন্দ্রা এলে নেচে করে রংগ বাহার

ও চাঁদ সুন্দর রূপ তোমার
তার চে রূপে রাংগা প্রিয়া আমার
প্রিয়া আমার ।।

আজ রাতে কোন রূপ কথা নেই

চাঁদমামা আজ বড্ড একা
বড় হয়েছি আমি
রোজ রাতে আর হয়না কথা
হয়না নেয়া হামি

রোজ রাতে আর চাঁদের বুড়ি
কাটেনা চরকা রোজ
ও বুড়ি, তুই আছিস কেমন
হয়না নেওয়া খোঁজ

কোথায় গেলো সে রুপকথার রাত
হাজার গল্প শোনা
রাজার কুমার, কোটাল কুমার, পঙ্খীরাজ
সে ঘোড়া

কেড়ে নিলো কে সে আজব সময়
আমার কাজলা দিদি
কে রে তুই, কোন দৈত্যদানো
সব যে কেড়ে নিলি

কেরে তুই, কেরে তুই
সব সহজ শৈশবকে
বদলে দিলি
কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে

তুই, কে রে তুই
যত বিষাক্ত প্রলোভনে
আমায় ঠেলে দিলি
কোনো এক ভুল স্রোতে

আলাদিন আর জাদুর জীনি
আমায় ডাকছে শোনো
ব্যস্ত আমি ভীষণ রকম
সময় তো নেই কোনো

আলীবাবার দরজা খোলা
চল্লিশ চোর এলে
সিনবাদটা, একলা বসে
আছে সাগর তীরে

সময়টা আজ কেমন যেন
বড় হয়ে গেছি আমি
তারাগুলো আজও মেঘের আড়াল
কোথায় গিয়ে নামি

কেড়ে নিলো কে সেই………

আমার ভালোবাসার তানপুরাতে সুর যে বাজে না

আমার ভালোবাসার তানপুরাতে সুর যে বাজে না ।।
আজ মনের মাঝে রঙ্গীন আশা -
রঙ্গে সাজে না ।।
আমার ভালোবাসার তানপুরাতে সুর যে বাজে না ।।

হায় কেমনে ভুলিবো সেদিন বল যেদিন তুমি পাশে ছিলে !
ভুলিবো কেমন সে রাত বলো যে রাতে তুমি গেছো চলে
আজ তারার আকাশে নেইকো তারা
চাঁদে শুধু অন্ধকার
ভালোবাসার তানপুরাতে সুর যে বাজে না……

হায় কেমনে বুঝাব নিজেকে বল তুমি এখন নও আমার
নিভে গেছে আশার প্রদীপ
নেইতো আলো ভালোবাসার
আমি ভালোবেসে যে সব হারালাম
নেইতো কিছুই হারাবার
ভালোবাসার তানপুরাতে সুর যে বাজে না……

আমার ভালোবাসার তানপুরাতে সুর যে বাজে না ।।
আজ মনের মাঝে রঙ্গীন আশা -
প্রানে সাজে না ।।
আমার ভালোবাসার তানপুরাতে সুর যে বাজে না ।।

আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি

কোনো সুখের ছোঁয়া পেতে নয়
নয় কোনো নতুন জীবনের খোঁজে
তোমার চোখে তাকিয়ে থাকা
আলোকিত হাসি নয়
আশা নয়
না বলা ভাষা নয়
আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি
তাই তোমার কাছে ছুটে আছি ।।

বুকের এক পাশে রেখেছি
জলহীন মরুভূমি
ইচ্ছে হলে যখন তখন
অশ্রুফোঁটা দাও তুমি
তুমি চাইলে আমি দেবো
অথৈ সাগর পাড়ি
আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি তাই তোমার কাছে ছুটে আছি

যখন আমার কষ্টগুলো
প্রজাপতির মত উড়ে
বিষাদের সবকটা ফুল
চুপচাপ ঝরে পড়ে
আমার আকাশ জুড়ে
মেঘে ভরে গেছে ভুলে
আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি তাই তোমার কাছে ছুটে আছি ।।

কোনো সুখের ছোঁয়া পেতে নয়
নয় কোনো নতুন জীবনের খোঁজে
তোমার চোখে তাকিয়ে থাকা
আলোকিত হাসি নয় ।।
আশা নয়
না বলা ভাষা নয়
আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি
তাই তোমার কাছে ছুটে আছি ।।

আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি

আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি
তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও
আমি বারোমাস তোমার আশায় আছি
তুমি অবসর পাইলে আসিও

আষাঢ় শ্রাবণে ঘন বরষার সাথে
দিনগুলো কাটে না বিরহ ব্যথাতে ।।
আসছে মাসে না হয় পত্র দি…।
তুমি অবসর পাইলে আসিও
আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি
তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও

ভাদ্র আশ্বিনে কয় জনে জনে
কতকাল একা থাকো মন উচাটনে ।।
অগ্রহায়ণে তুমি আদর জানিও
তুমি অবসর পাইলে আসিও

পৌষ মাঘ কাটে না বুঝি এই শীতে
একটু কি পারো নাই কোনো খোঁজ নিতে ।।
বৈশাখী ঝড় মনে শুধু জানিও ।।
তুমি অবসর পাইলে আসিও

আমি বারোমাস তোমায় ভালোবাসি
তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও
আমি বারোমাস তোমার আশায় আছি
তুমি অবসর পাইলে আসিও

কি করে ভাবলে তুমি

কি করে বললে তুমি
তোমাকে হঠাত করে ভুলে যেতে,
কি করে ভাবলে তুমি
আমাদের এতদিনের সবি ছিল পাগলামি।

তোমাকে ভেসেছিলাম ভালো
সেই ভাবনায় থাকত পড়ে মন
তোমাকে বোঝার সময় গেছে কখন
বুঝিনি আগে।

আজ হেয়ালী সর্বনাশের,
স্বপ্নলিপি ছিড়ে গেছে
আজ যদি সব বল মিছে
তোমার কথা মানবোবা আমি
তোমাকে ভেসেছিলাম ভালো
সেই ভাবনায়, থাকত পড়ে মন
তোমাকে বোঝার সময় গেছে কখন
বুঝিনি আগে।

কি করে বললে তুমি
তোমাকে হঠাত করে ভুলে যেতে,
কি করে ভাবলে তুমি
আমাদের এতদিনের সবি ছিল পাগলামি।

চলো বদলে যাই

সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম
কেমন করে এতো অচেনা হলে তুমি
কিভাবে এতো বদলে গেছি এই আমি
ও বুকেরই সব কষ্ট দুহাতে সরিয়ে
চলো বদলে যাই

তুমি কেন বোঝ না
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে
আমার অপরাধ ছিল যতো টুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়

কতরাত আমি কেঁদেছি
বুকের গভীরে কষ্ট নিয়ে
শূণ্যতায় ডুবে গেছি আমি
আমাকে তুমি ফিরিয়ে নাও

তুমি কেন বোঝ না
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে
আমার অপরাধ ছিল যতো টুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়

কতবার ভেবেছি ভুলে যাবো
তারও বেশী মনে পড়ে যায়
ফেলে আসা সেই সব দিনগুলি
ভুলে যেতে আমি পারিনা

তুমি কেন বোঝ না
তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু ভালোবাসা তোমায় ঘিরে
আমার অপরাধ ছিল যতো টুকু তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায়

সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম
কেমন করে এতো অচেনা হলে তুমি
কিভাবে এতো বদলে গেছি এই আমি
ও বুকেরই সব কষ্ট দুহাতে সরিয়ে
চলো বদলে যাই

ফেরারী এই মনটা আমার

ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।

কখনো ভাবিনি আমি
ব্যথা দিয়ে তুমি চলে যাবে
কি জানি কি ভুল ছিল আমার
আমাকে কেন গেলে কাঁদিয়ে
তাই আমি ফিরে আসি বারেবার

ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।

যে পথে হারিয়েছি তোমায়
সেই পথে খুঁজে আমি যাব
অভিমান করে থেকো না
অপবাদ দিয়ে যেও না
তাই আমি ফিরে আসি বারেবার

ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।

মন শুধু মন ছুঁয়েছে

মন শুধু মন ছুঁয়েছে
ও সেতো মুখ খুলেনি
সুর শুধু সুর তুলেছে
ভাষা তো দেয় নি

চোখের দৃষ্টি যেন মনের গীতি কবিতা
বুকের ভালোবাসা যেথায় রয়েছে গাঁথা

আমিতো সেই কবিতা পড়েছি
মনে মনে সুর দিয়েছি
কেউ জানে নি

যখনি তোমার চোখে আমার মুখ খানি দেখি
স্বপনও কুসুম থেকে হৃদয়ে সুরভি মাখি ।।

তুমি কি সেই সুরভি পেয়েছো
স্বপনের দ্বার খুলেছো
কিছু জানিনি

মন শুধু মন ছুঁয়েছে ও সেতো মুখ খুলেনি
সুর শুধু সুর তুলেছে ভাষা তো দেয় নি

সে কোন দরদিয়া আমায়

সে কোন দরদিয়া আমায় কাঁদায় আবার হাসায়
দুঃখ সুখের করিডোরে ডুবায় আবার ভাসায়
সে কোন দরদিয়া আমায় কাঁদায় আবার হাসায়
পাইনা তারে খুঁজি যারে সে আছে অন্তরে

ঝড়ের রাতে আপন হয়ে আসে আমার বুকে
চাঁদের আলোয় জোয়ার আনে ভালোবাসার সুখে ।।
আমার দরদিয়া এমন মধুর
চেয়ে থাকি চোখে……

সে কোন দরদিয়া আমায় কাঁদায় আবার হাসায়
দুঃখ সুখের করিডোরে ডুবায় আবার ভাসায়
সে কোন দরদিয়া আমায় কাঁদায় আবার হাসায়
পাইনা তারে খুঁজি যারে সে আছে অন্তরে

বুকের মাঝে বসত গড়ে কেন তবু দূরে
চাই যখন পাইনা তখন খুঁজে ফিরি তারে ।।
আমার দরদিয়া এমন নিঠুর
দেখেনা তা ফিরে……

সে কোন দরদিয়া আমায় কাঁদায় আবার হাসায়
দুঃখ সুখের করিডোরে ডুবায় আবার ভাসায়
সে কোন দরদিয়া আমায় কাঁদায় আবার হাসায়
পাইনা তারে খুঁজি যারে সে আছে অন্তরে

আকাশ-পৃথিবী

হৃদয়ের শাদা রঙটুকু সব
হয়েছে কেবলই নোনা৷
না-পাওয়ার চাপা আর্তনাদে,
অবেলায় ঝড়া পাতা৷
আকাশ-পৃথিবী আর ঘড়ির কাঁটা,
অসম এই বোঝাপড়া৷
ভালোলাগার নয়নতারাগুলো মাঝে,
দিলোনা আমায় কোনো ভালোবাসা৷
সূর্যের স্পর্শে অভিমান জানি
হবেনা কখনো ছোঁয়৷
অবুঝ-বোবা হয়ে ক্লান্তি ফিরে
নি:শ্বাসে বাড়ায় নীরবতা৷

কোন কারণেই

কোন কারণেই, কোন কারণেই
ফেরানো গে্লোনা তাকে
ফেরানো গেলোনা কিছুতেই

কোন বাঁধনেই, কোন বাঁধনেই
বাঁধাতো গেলোনা তাকে
বাঁধাতো গেলোনা কিছুতেই

সে যে হৃদয় পথের রোদে
একরাশ মেঘ ছড়িয়ে
হারিয়ে গেল নিমেষেই।।

কি কারণ যায়নি সে বলে
কি ভূল আমি, করেছি ভূলে
অজস্র বার আমি ক্ষমা চেয়েছি নিজে জ্বলে।

নিঃসিম আধারে পথ চলা
নিজের সাথেই কথা বলা,
বিষন্নতার, বন্ধু যখন চেতনাতে।

সে যে হৃদয় পথের রোদে
একরাশ মেঘ ছড়িয়ে
হারিয়ে গেল নিমিষেই।।

তুমি বাসো কিনা

তুমি বাসো কিনা তাও আমি জানি না
ভালো বাসো কিনা তাও আমি জানি না
আমার কাজ আমি বন্ধু করিয়া রে যাব
চিন্তা হতে আমি চিতানলে যাব
বন্ধুরে …….

তুমি বাসো কিনা তাও আমি জানি না
ভালো বাসো কিনা তাও আমি জানি না
আমার কাজ আমি বন্ধু করিয়া রে যাবো
আমি তোমারে বন্ধু ভাল যে বাসিব
বন্ধুরে …….

পাহাড়ে পাহাড়ে নগরে বন্দরে খুঁজিয়া তোমারে ধারা বহাবো
বাউল সাজিয়া একতারা লইয়া সাঁঝের আধাঁরে আমি খুঁজিয়া বেড়াবো
আমি তোমারে বন্ধু ভাল যে বাসিব
বন্ধুরে …….

কোন সে ডোরে বান্ধিয়া মোরে
ঘুড্ডি বানাইয়া রাখিলা উরায়ে

শন শন করিয়া
যাই গান গাহিয়া
দিও না বন্ধু তুমি লাটাই ছাড়িয়া
পাগল হইয়া কালা যাব যে মরিয়া
বন্ধুরে …….

যদি দাও ছাড়িয়া
উড়িয়া উড়িয়া যাব গো পরিয়া
কোন সে অজানায়
অজানা দেশে অচেনা বেশে
আরেক পিরীতি কুলে লইবো টানিয়া
পাগল হইয়া কালা যাব যে মরিয়া
বন্ধুরে …….

তুমি বাসো কিনা তাও আমি জানি না
ভালো বাসো কিনা তাও আমি জানি না
আমার কাজ আমি বন্ধু করিয়া রে যাব
চিন্তা হতে আমি চিতানলে যাব
বন্ধুরে …….

এক নদী যমুনা

আমি আর আমার দু’চোখ কখনো জলে ভেজাবো না
এ ব্যথা আমারই থাক, চাই না কারও সান্ত্বনা

পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না।

কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা।

টেনে নিয়ে বুকের কাছে,
ছুঁড়ে দেয় ধূলোর মাঝে।
ভালবাসার নিয়ম মানি না
তাইতো অশ্রু এখন আসে না
দিও না, দিও না, সান্ত্বনা
কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না………।।

ডুবেছিল মায়াজালে হৃদয়
সেই ক্ষত এখনো কথা কয়।
ভালবাসার নিয়ম মানি না
তাইতো অশ্রু এখন আসে না
দিও না, দিও না, সান্ত্বনা
কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না………।।

আমিও থাকি জেগে

কেউ জানে না আলসে দূপুর
অবাক মনের ভুলে,
তোমায় ছুয়ে যাওয়া কিছু
বাতাস বাউন্ডুলে।।

নাম ঠিকানা কেউ জানে না
তবু তোমার নামে,
মনের ভুলে একশো চিঠি
বন্দি হলো খামে।।

সন্ধ্যা তোমার লালচে আকাশ,
মনের ভুলের রাতে।
না ঘুমোনো তারা কিছু,
জাগবে তোমার সাথে।।

না ঘুমানো রাত্রি তোমার,
আকাশ রাতের মেঘে।
তোমার বোধের সঙ্গী হতে,
আমিও থাকি জেগে।।

কন্ঠঃ মেরাজ মহসিন

দখিনা হাওয়া

দখিনা হাওয়া ঐ তোমার চুলে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় এলোমেলো করে
কয়েকটি চুলে ঢেকে যায়, তোমার একটি চোখ
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
তুমি আমার নও আমার নও
আমার নও আমার নও

একাকী নীরবে এগিয়ে পিছিয়ে চেয়েছি কত বলতে
খুঁজেতো পাইনি না বলা কথাটি হারানো দিনের গল্পে
আমি ভুলে যাই, আমি হেরে যাই
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
তুমি আমার নও আমার নও
আমার নও আমার নও

শহরতলীতে এমনই রাতে বেজেছে সানাই কত
সে সুর আজকে স্মৃতির আঙ্গিনায় বাজবে অচেনা সুরে
আমি ভুলে যাই, আমি হেরে যাই
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
তুমি আমার নও আমার নও
আমার নও আমার নও

দখিনা হাওয়া ঐ তোমার চুলে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় এলোমেলো করে
কয়েকটি চুলে ঢেকে যায়, তোমার একটি চোখ
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও
তুমি আমার নও আমার নও
আমার নও আমার নও

তুমি পৃথিবীতে মোরে করেছ অনেক বেশি ঋনী

তুমি পৃথিবীতে মোরে
করেছ অনেক বেশি ঋনী
তোমার নিঃস্ব প্রেম বড় সুন্দর
জীবন দিয়েছে কতখানি

শিখিয়েছ সামনে চলার এ দিগন্ত
কোথায় গিয়েছে তারা মিশে
বুঝিয়েছ জীবন তো নয় ফুলশয্যা
হারাবে যখন অনিমেষে ।।
পড়ে কি মনে বড়
ফেরারী বসন্ত মলিনী
তুমি পৃথিবীতে মোরে
করেছ অনেক বেশি ঋনী

যদিও তো দুঃখ পেলাম হারাবার মাঝে
তবুও রয়েছি আজো রয়েছি সুখী
জাননা তো এ জীবনেও আনন্দ আছে
হতেও তুমি একাকী ।।
একা থাকারও মাঝে
আছে সুখ বিষাদ রাগিনী

তুমি পৃথিবীতে মোরে
করেছ অনেক বেশি ঋনী
তোমার নিঃস্ব প্রেম বড় সুন্দর
জীবন দিয়েছে কতখানি
তুমি পৃথিবীতে মোরে করেছ অনেক বেশি ঋনী

সূচনা, কেমন আছো, কোথায় আছো জানিনা ।।

সূচনা, কেমন আছো, কোথায় আছো জানিনা ।।
সুখে থেকো, এইটুকু মোর কামনা
সূচনা ~
সূচনা, কেমন আছো, কোথায় আছো জানিনা

কথার মালা দিয়ে গেথেছিলাম, ভালোবাসার গান
সূরের প্রতিমা গড়েছিলাম, দিয়ে মনপ্রাণ ।।
ভেঙ্গে গেছে কত আশা, ভেঙ্গেছে সুর-সাধনা
সূচনা ~
সূচনা, কেমন আছো, কোথায় আছো জানিনা

ফেলেছো কি তুমি কখনো, দু’ফোঁটা চোখের জল
ঘুমহীন মোর দুটি চোখে, জলে ছলছল ।।
প্রেম চিঠি লিখবো না আর, আর কখনো কাঁদবো না
সূচনা ~
সূচনা, কেমন আছো, কোথায় আছো জানিনা

সূচনা, কেমন আছো, কোথায় আছো জানিনা ।।
সুখে থেকো, এইটুকু মোর কামনা
সূচনা ~

ইচ্ছে করে যাই চলে যাই অচিনপুর




ইচ্ছে করে
যাই চলে যাই অচিনপুর
যেখানে দুঃখ নেই কষ্ট নেই
ঝলমল করে আলো
রোদ্দুর…..
ইচ্ছে করে
হাঁটি এলোমেলো মেঠো পথ ধরে
গানের সুরে ছন্দে মাতি
ইচ্ছে করে

শহর থেকে একটু দুরে
ছায়া ঘেরা মোঠো পথ পেড়োলেই
ছায়াঘেরা নদী শ্যামল সবুজ বন
ইচ্ছে করে দেখি ভরে এই দু’ নয়ন
ইচ্ছে করে
যাই চলে যাই অচিনপুর
যেখানে দুঃখ নেই কষ্ট নেই
ঝলমল করে আলো
রোদ্দুর…..

ক্লান্ত লাগে নগর জীবন
কৃত্রিম প্রেমে বিষন্ন এ মন ।।
ইচ্ছে করে সাগর পারে সন্ধ্যা বেলা
দেখি সূর্যডোবা
দেখি বালুকাবেলা
জোৎস্না রাতে তারার মেলায়
নিমগ্ন একা হেঁটে যাই
চলে যাই অনেক দুর
যেখানে দুঃখ নেই কষ্ট নেই
ঝলমল করে আলো
রোদ্দুর…..


শেষ ঠিকানা

তোমার আঁচলজুড়ে আমার সুবর্ন রৌদ্রদিন
সাজালে আমায় তুমি অমলিন
কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে
রয়েছো নীলিমা ছাড়িয়ে
তোমার চোখে আমার শেষ ঠিকানা
তুমি আমার পথের প্রথম ও শেষ সীমানা
তোমার চোখে আমার শেষ ঠিকানা
তুমি আমার পথের প্রথম ও শেষ সীমানা
জীবনের প্রতি সূর্যোদয়ে ভালোবাসা পূর্নতায়
রেখেছো আমায় তুমি হৃদয়ে
উদাসী বাঁশির মত নীরবে বুকের ক্ষত
তোমার চোখে আমার শেষ ঠিকানা
তুমি আমার পথের প্রথম ও শেষ সীমানা
তোমার চোখে আমার শেষ ঠিকানা
তুমি আমার পথের প্রথম ও শেষ সীমানা
পথ দেখানো ধ্রুবতারা
ডাকো আমায় আত্মহারা
তোমার চোখে আমার শেষ ঠিকানা
তুমি আমার পথের প্রথম ও শেষ সীমানা
তোমার চোখে আমার শেষ ঠিকানা
তুমি আমার পথের প্রথম ও শেষ সীমানা……

ঝাউ বনের পথ ধরে

ঝাউ বনের পথ ধরে
চলেছি একা একা
কত দূরে যাব আমি জানি না
কত দূরে যাব জানি না
নদীর স্রোত যেখানে থেমে গেছে
সে কি আমার ঠিকানা।।

মুক্ত হাওয়ায় হাওয়ায়
চৈতী তালে তালে
বলাকারা ঐ উড়ে যায়
সোনালী আকাশ জুড়ে।

সন্ধ্যা নেমে এলো
বলাকারা ফিরে গেল
আমি শুধু রয়ে গেলাম
এক পলকের আশায়।।

হেসে খেলে এই মনটা আমার

হেসে খেলে এই মনটা আমার
কেড়ে নিলে এত সহজেই
এ যে প্রতারনা তা জানি না
কেঁদে কেটে এই মনটা আমার
অবহেলা আর অতৃপ্ততায়
জুটলো বেদনা আর কিছু না।।

তোমার প্রেমে ধন্য হয়ে
অতঃপর কত পূর্ন ভেবে
এক সোনার আলো এসেছিলো
আমার জানালায়
মন হয়েছিলো কাব্যময়
অপরূপ এক কল্প হয়
প্রান উজার করে আমি
লিখেছিলাম কবিতা।।

ব্যথা পেয়ে এত আর্ত হয়ে
ভিক্ষে চেয়েছি শান্তনা
একা আঁধার ঘরে আমার
ঘুম আসেনা
এই মনে শুধু রিক্ততা
কেউ আমার বন্ধু না
একা চলার পথে আমায়
কেউ ডেকো না।।

হে হে দেখা হয় নি বলে না না

হে হে দেখা হয় নি বলে না না
এ অপমান আমি সইবো না
হে হে কথা হয় নি বলে না না
আর নিরব আমি রইবো না
তোমারই দূরে থাকা
আমাকে রাখে একা করেছে নিদ্রাহারা
সুখ গেছে বনবাসে নেই আলো আশেপাশে
থেমে গেছে জীবনধারা

তোমার লাজুক চোখের সাথে
আমার অবাক চোখের চোখাচোখি
দুষ্ট লোকের চোখে দৃষ্টিকটু হলে
বল কি করি

টেলিফোনে যখন ফিসফিস করে
কথা হয় দুজনায়
মন্দ লোকে যদি আড়ি পেতে
শুনে ফেলে বল কি উপায়

তোমার লাজুক চোখের সাথে…

হে হে দেখা হয়নি কেন না না
আর নিরব তুমি থেকোনা
হে হে ভীরু মনে আর না না
আড়াল করে রেখো না
প্রেমের কবিতাটি এখনো লেখা বাকি
দেবে কি তুমি সাড়া

হবে কি পরাজিত বুঝিনি এখনোতো
হয়েছি দিশেহারা

তোমার লাজুক চোখের সাথে…।।

সে যেন চোখেই বলে সে নিরব দেখে চেয়ে

সে যেন চোখেই বলে
সে নিরব দেখে চেয়ে
সে মানে না কোন বাধা
সে অবুঝ বোঝে না যে

ও ও ও প্রেম…
যে বোঝে শুধু সোনালী দিন
যে প্রেম যা সকলে জানে
সেই প্রেম ছুতে চায়
বেদনার দিন যেন
নিরবে জোয়ার আনে

হায় ভেঙ্গে যায় প্রেমের বাঁধন
কি এক জটিলতা
তবু মুখে তার সুখের সাধন
এ যেন নিরব খেলা
হায় প্রেম … উ উ উ…. প্রেম… ।।

ও ও ও নীল সাগরে হেঁটে যায়
সে নীল শাড়ী পড়ে
সেই নীল আকাশের ছায়া ভেবে যাই
নীল ছায়া নীড়ে
যেন চোখে তার স্মৃতির মায়া কোন সুদূরে
যেন মনে হয় প্রেমের পাওয়া
আজ সবই মিছে
হায় প্রেম … উ উ উ…. প্রেম… ।।

গোধূলি




প্রেম শুধু একা থাকা
তুমি কাছে নাই
তুমি নাই বলে কি আজো
থেমে যায় অশ্রুর জোয়ার
থামে নাই থামে নাই

প্রেম শুধু বিরহের গান
তোমার চলে যাওয়া
তুমি দূরে বলে কি আজো
ভেঙ্গে যায় স্নেহের বাধন
ভাঙ্গে নাই ভাঙ্গে নাই

দুরে বহু দুরে মনে পড়ে
স্বপ্নে তুমি হও দুঃখিনী
ভোর দুপুর গোধুলি

প্রেম শুধু মনে করা
সুখের দিনগুলি
অভিশাপে মুছে গেছে
শত গানে কত কথায়
আজ বৃথায় আজ বৃথায়

প্রেম শুধু আশায় থাকা
নিরাশায় মোর পথ সাথী
যদি হয় দেখা হয় আমি রবো ভালো লাগায়
তোমারি দুখের হাসি

দুরে বহু দুরে মনে পড়ে
স্বপ্নে তুমি হও দুঃখিনী
ভোর দুপুর গোধুলি।


গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা

গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।।

একই আকাশ একই বাতাস
এক হৃদয়ের একই তো শ্বাস।
দোয়েল কোয়েল পাখির ঠোটে একই মুর্ছনা।
ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।।

এপার ওপার কোন পাড়ে জানি না
ও আমি সব খানেতে আছি
গাঙ্গের জলে ভাসিয়ে ডিংগা
ও আমি পদ্মাতে হই মাঝি
শংখ চিলের ভাসিয়ে ডানা
ও আমি দুই নদীতে নাচি

একই আশা ভালবাসা কান্না হাসির একই ভাষা।
দুঃখ সুখের বুকের মাঝে একই যন্ত্রনা
ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।।

আমায় যদি প্রশ্ন করে

আমায় যদি প্রশ্ন করে
আলো-নদীর এক দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।

আমায় যদি প্রশ্ন করে
কল-কাকলীর দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।।

এক সূর্যের হাজার আলোর কণা
ছড়িয়ে এই মাটি করলো অরূপ সোনা।

আমায় যদি প্রশ্ন করে
মায়াবতী কোন দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।।

নব দিগন্তের নতুন চলার তিথি
মিলেছে এ জীবন সম্ভবনার গীতি।

আমায় যদি প্রশ্ন করে
কাব্য-গীতির কোন দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।।

আমায় যদি প্রশ্ন করে
কল-কাকলীর দেশ
বলবো আমি বাংলাদেশ।।

ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে

ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে

তা থৈ তা থৈ থৈ দিমি দিমি দ্রম দ্রম ।।
ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে ।।
ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।।

দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী
আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে ।।
সাজ রে সন্তান হিন্দু-মুসলমান
থাকে থাকিবে প্রাণ, না হয় যাইবে প্রাণ ।।
ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে

লইয়ে বিপদ হওরে আগোয়ান
নিতে হয় মুকুন্দেরে নিও রে সঙ্গে।।
ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে

আমাদের একই ভাষা আমাদের একই দেশ

আমাদের একই ভাষা আমাদের একই দেশ
সহজ সরল মায়া মমতায় নাইকো যার শেষ।।

চোখ জুড়ানো ঘন নিবিড় গ্রামের শ্যামলীমায়
উদাস মনটা পাল উড়ায় অলস পুবাল হাওয়ায়।

থেমে থেমে আনে মনে কি যে মধুর আবেশ
সেই সে দেশ বাংলাদেশ আমার আমার জন্মভুমি।।

ষড়ঋতুর নানার রকম লুকোচুরির খেলায়
জীবন সেথায় অফুরান রংধুনু সুখ ছড়ায়।

হাজার নদীর কলতানে কাটে না যে রেশ
সেই যে দেশ বাংলাদেশ আমার আমার জন্মভুমি।।

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
এমন করে আকুল হয়ে
আমায় তুমি ডাকো।।

তোমার কথায় হাসতে পারি
তোমার কথায় কাঁদতে পারি
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো মাগো।।

তোমার কথায় কথা বলি
পাখির গানের মতো
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি
বর্ণ কত শত।
তুমি আমার—খেলার পুতুল
আমার পাশে থাক মাগো।।

তোমার প্রেমে তোমার গন্ধে
পরান ভরে রাখি
এইতো আমার জীবন-মরণ
এমনি যেন থাকি।
বুকে তোমার—ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।

একতারা তুই দেশের কথা

একতারা তুই দেশের কথা
বলরে এবার বল
আমাকে তুই বাউল করে, সঙ্গে নিয়ে চল
জীবন মরণ মাঝে, তোর সুর যেন বাজে।।

একটি কথা আমি শুধু বলে যেতে চাই
বাংলা আমার সুখে-দুখে হয় যেন গো ঠাই রে।।

একটি গান আমি শুধু গেয়ে যেতে চাই,
বাংলা আমার, আমি যে তার
আর তো চাওয়া নাই রে।।

প্রাণের প্রিয় তুমি, মোর সাধের জন্মভূমি
তোমায় বরণ করে
যেন যেতে পারি মরে।।

মুক্তির মন্দির সোপানতলে

 

মুক্তির মন্দির সোপানতলে
কত প্রাণ হল বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে ।।

কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,
বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা
তাঁরা কি ফিরিবে আজ সু-প্রভাতে,
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।।

যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভুমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।

যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা,
মৌন মলিন মুখে জোগালো ভাষা
আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয় লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে।

শোনো একটি মুজিবরের থেকে

শোনো, একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।।

সেই সবুজের বুক চেরা মেঠো পথে,
আবার এসে ফিরে যাবো আমার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো।
শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায় রে
এমন সোনার দেশ।

শোনো, একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।।

বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ,
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা
রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ।.

‘জয় বাংলা’ বলতে মনরে আমার এখনো কেন ভাবো,
আমার হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো,
অন্ধকারে পুবাকাশে উঠবে আবার দিনমণি।।

শোনো, একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।।

সোনা সোনা সোনা

সোনা সোনা সোনা
লোকে বলে সোনা
সোনা নয় তত খাঁটি
বলো যত খাঁটি
তার চেয়ে খাঁটি বাংলাদেশের মাটি রে
আমার জন্মভূমির মাটি।।

ধন জন মন যত ধন দুনিয়াতে
হয় কি তুলনা বাংলার কারো সাথে
কত মার ধন মানিক রতন
কত জ্ঞানী গুণী কত মহাজন
এনেছি আলোর সূর্য এখানে
আঁধারের পথ পাতি রে
আমার বাংলাদেশের মাটি
আমার জন্মভূমির মাটি।।

এই মাটির তলে ঘুমায়েছে অবিরাম
রফিক, শফিক, বরকত কত নাম
কত তিতুমীর, কত ঈশা খান
দিয়েছে জীবন, দেয় নি তো মান।।
রক্তশয্যা পাতিয়া এখানে
ঘুমায়েছে পরিপাটি রে
আমার বাংলাদেশের মাটি
আমার জন্মভূমির মাটি।।

বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা

বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।।
তোমার গুলির, তোমার ফাঁসির,
তোমার কারাগারের পেষণ শুধবে তারা
ও জনতা এই জনতা এই জনতা।।

তোমার সভায় আমীর যারা,
ফাঁসির কাঠে ঝুলবে তারা।।
তোমার রাজা মহারাজা,
করজোরে মাগবে বিচার।।
ঠিক যেন তা এই জনতা।

তারা নতুন প্রাতে প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে।
তারা ক্ষুদিরামের রক্তে ভিজে প্রাণ পেয়েছে।।
তারা জালিয়ানের রক্তস্নানে প্রাণ পেয়েছে।।
তারা ফাঁসির কাঠে জীবন দিয়ে
প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে।।
গুলির ঘায়ে কলজে ছিঁড়ে প্রাণ পেয়েছে,
প্রাণ পেয়েছে এই জনতা।

নিঃস্ব যারা সর্বহারা তোমার বিচারে।
সেই নিপীড়িত জনগণের পায়ের ধারে।।
ক্ষমা তোমায় চাইতে হবে
নামিয়ে মাথা হে বিধাতা।।
রক্ত দিয়ে শুধতে হবে।
নামিয়ে মাথা হে বিধাতা।।
ঠিক যেন তা এই জনতা।
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।।

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।।
বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল,
হয়েছে কাল, হয়েছে কাল।।

শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে ।।
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
নয়া বাংলার নয়া সকাল,নয়া সকাল।

আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল, শত্রু জাল।

সুন্দর সুবর্ণ তারুন্য লাবন্য

সুন্দর সুবর্ণ তারুন্য লাবন্য
অপূর্ব রূপসী রূপেতে অনন্য।

আমার দু’চোখ ভরা স্বপ্ন
ও দেশ তোমারই জন্য।।

থাকবে নাতো দুঃখ দারিদ্র
বিভেদ-বেদনা-ক্রন্দন।।

প্রতিটি ঘরে একই প্রশান্তি
একই সুখের স্পন্দন।।

তোমার জন্য হবো দুরন্ত
তোমার জন্য শান্ত
প্রহরী হয়ে দেব পাহারা
যেথায় তোমার সীমান্ত।।

বাংলাদেশ, হতে পারে এই গরিবের দেশ

নিজের দেশ
হতে পারে এই গরিবের দেশ
হতে পারে অবহেলিদের দেশ
তবু যে আমার বাংলাদেশ

সবুজ দেশে
লাল টকটকে সূর্য ওঠে
দোয়েল কোয়েলের গানের সুরে
ভোরে আমার ঘুম ভাঙ্গে

বাংলাদেশ
মাগো যখন আমি তোমার কোলে
মনে পড়ে কানে বলেছিলে
এদেশ তোমারি দেশ, ভালবাসার বাংলাদেশ
ঘোরের হোক বুকের রক্ত ঢেলে সোনার দেশ
শত্রুর প্রলোভনে বিকিয়োনা ধরনি কেশ

কত উল্লাস কত আশা
শত মানুষের শত ভালবাসা
কত উল্লাস কত আশা
শত মানুষের শত ভালবাসা
কত উল্লাস কত আশা …

নিজেরই দেশ
এ আমার দুখিনী মায়ের দেশ
এ আমার নিপীড়িদের দেশ
তবু যে আমার বাংলাদেশ
পুকুর পাড়ে
পদ্মফুল আমি ফুটতে দেখে
বিনা তারে শুনি বাউল সুরে ওই
ধন্য আমার জন্ম কেশ

বাংলাদেশ
মাগো আমি তোমার সোনার ছেলে
আগুনে পুড়েছি দুযুগ ধরে
এদেশ রক্ত ভেজা অশ্রুভেযা বাংলাদেশ
আগলে রেখেছি মাগো শতো লোভে প্রলোভনে
আমি শত্রু চিনি মাগো তুমি ঘুমাও নির্ভয়ে।।

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
লক্ষ মুক্তি সেনা
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।।

রোজ এখানে সূর্য ওঠে
আশার আলো নিয়ে
হৃদয় আমার ধন্য যে হয়
আলোর পরশ পেয়ে ।।

সে মাটি ছেড়ে অন্য কোথাও
যেতে বলিস না
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না।।

রক্তে যাদের জেগেছিল
স্বাধীনতার নিশা
জীবন দিয়ে রেখে গেছে
মুক্ত পথের দিশা
সে পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে
যেতে বলিস না
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না।।

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
লক্ষ মুক্তি সেনা
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।।

Friday, 20 July 2012

তুমি তাই বলেছিলে, চন্দ্র রাতে তুমি আসবে কাছে...

তুমি তাই বলেছিলে, চন্দ্র রাতে তুমি আসবে কাছে

এরপর কেটে গেছে কতো না, ভরা পূর্ণিমা

সপ্নে তে বলেছিলে বৃষ্টি এলে ডাকবে কাছে

এরপর বয়ে গেছে কতো না বর্ষা ধারা

বলেছিলে এক নদী দুঃখ হলে ভালবাসবে আমাকে

চেয়ে দেখো এ বুকে আজ কতো শত নীল বেদনা

তুমি তাই বলেছিলে, চন্দ্র রাতে তুমি আসবে কাছে

জানালার শার্সিতে, বেদনার আরশিতে

হতাশার জল ছায়া ভাসে......

মনের উঠোন জুড়ে বিষাদের সাত সুরে

কষ্টের শেষ হাসি হাসে

বলেছিলে এক নদী দুঃখ হলে ভালবাসবে আমাকে

চেয়ে দেখো এ বুকে আজ কতো শত নীল বেদনা

তুমি তাই বলেছিলে, চন্দ্র রাতে তুমি আসবে কাছে

বিষাদ এর আরাধনা কষ্টের আলপনা

এই মনে চিরস্থায়ী আজ

রং তুলি জলছবি, ভালবাসা ভুল সবই

ছলনার সাথে প্রতি রাত

বলেছিলে এক নদী দুঃখ হলে ভালবাসবে আমাকে

চেয়ে দেখো এ বুকে আজ কতো শত নীল বেদনা

তুমি তাই বলেছিলে, চন্দ্র রাতে তুমি আসবে কাছে

এরপর কেটে গেছে কতো না, ভরা পূর্ণিমা

সপ্নে তে বলেছিলে বৃষ্টি এলে ডাকবে কাছে

এরপর বয়ে গেছে কতো না বর্ষা ধারা

বলেছিলে এক নদী দুঃখ হলে ভালবাসবে আমাকে

চেয়ে দেখো এ বুকে আজ কতো শত নীল বেদনা।।।

ক্ষম ক্ষম অপরাধ

বারে বার ডাকি তোমায়
ক্ষম ক্ষম অপরাধ……!
বড় সঙ্কটে পড়িয়া এবার
ওগো দয়াল
বারে বার ডাকি তোমায়
ক্ষম ক্ষম অপরাধ……!
দাসের পানে একবার চাও হে দয়াময়
ক্ষম অপরাধ।

তোমারি ক্ষমতায় আমি
যা ইচ্ছে তাই কর তুমি ।।
রাখ মার সে নাম নামি ।।
ওগো দয়াল
তোমারি এই জগৎময়

পাপী অধম তরাইতে সাঁই
পতিত পাবন নাম শুনতে পাই ।।
সত্য মিথ্যা জানবো হেথায় ।।
ওগো দয়াল তরাইতে আজ আমায়

কসুর পেয়ে মার যারে
আবার দয়া হয় গো তারে ।।
লালন বলে এ সংসারে
অগো দয়াল
আমি কি তোমার কেহই নই

আমার হয় না রে সে মনের মত মন

আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।।
কিসে জানবো সেই রাগের কারণ
আমি জানবো কি সে রাগের কারণ
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।।

পড়ে রিপু ইন্দ্রিয় ভোলে
মন বেড়ায় রে ডালে আলে ।।
দুই মনে এক মন হইলে ।।
এড়াই শমন ।।
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।

রসিক ভক্ত যারা মনে মন মিশালো তারা ।।
শাসন করে তিনটি ধারা ।।
পেল রতন
তারা পেল রতন
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।

কবে হবে নাগিনী বস সাধবো কবে অমৃত-রস ।।
দরবেশ সিরাজ সাঁই কয়, বিষে বিনাশ ।।
হলি লালন ।।
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।

কিসে জানবো সেই রাগের কারণ
ও কিসে জানবো সেই রাগের কারণ
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।

দিবানিশি থাকরে সব বা হুঁশিয়ারী

দিবানিশি থেক সব রে মন বা-হুঁশিয়ারী
রাছুল বলে ইয়ে দুনিয়া ।।
মিছে ঝাকমারী।
দিবানিশি থেক রে ও মন বা-হুঁশিয়ারী
দিবানিশি থেক রে থেক ও মন বা-হুঁশিয়ারী

পড়িও আউজবিল্লা
দূরে যাবে নানতুল্লা ।।
মুর্শিদরূপ করিলে হিল্লা ।।
শঙ্কা যায় তারই।।
দিবানিশি থেক রে সাধের মন বা-হুঁশিয়ারী
দিবানিশি থেক রে থেক ও মন সব বা-হুঁশিয়ারী

যাহের বাতেন ছপ ছফিনায়
পুছি দ্বার ভেদ দিলেম সিনায় ।।
অমনি মতন তোমার সবায়
বল সবারই।।
দিবানিশি থেক রে থেক সবে বা-হুঁশিয়ারী

অগত অভক্তজনা
তারে গুপ্ত ভেদ বইল না
বলিলে সে মানিবে না ।।
করবে অহংকারী।।
দিবানিশি থেক রে সবে মন সব বা-হুঁশিয়ারী

আল্লাহ্ কে বোঝে তোমার অপার লীলা

আল্লাহ্ কে বোঝে তোমার অপার লীলা
কে বোঝে তোমার অপার লীলে।
তুমি আপনি আল্লাহ
ডাকো আল্লাহ বলে।

নিরাকারের তরে তুমি নুরী
ছিলে ডিম্ব অবতরী।
সাকারে সৃজন গড়লে ত্রিভুবন
আকারে চমৎকার ভাব দেখালে।

নিরাকার নিগম ধ্বনি
তাও তো সত্য সবাই জানি।।
তুমি আগমের ফুল নিগমে রসুল
আদমের ধড়ে জান হইলে।

আত্ম তত্ত্ব জানে যাঁরা
শাঁইর নিগূঢ় লীলা দেখছে তাঁরা।।
নীড় নিরঞ্জন অকৈথ্য সাধন ।।
লালন খুঁজে বেড়ায় বনজঙ্গলে।

এস হে অপারের কান্ডারি

এস হে অপারের কান্ডারি ।
পড়েছি অকূল পাথারে
দাও এসে চরণ তরী ।।

প্রাপ্ত পথ ভুলে হে এবার
ভবরোগে জ্বলবো কত আর ।।
তুমি নিজগুণে শ্রীচরণ দাও
তবে কূল পেতে পারি ।
ও আমি তবে কূল পেতে পারি ।

ছিলাম কোথা এলাম হেথা
আবার আমি যাই যেন কোথা ।।
তুমি মনোরথের সারথি হয়ে ।।
স্বদেশে নাও মনেরি ।।

পতিত পাবন নাম তোমার গো সাঁই
পাপী তাপী তাইতে দেয় দোহাই ।।
ফকির লালন বলে তোমা বিনে
ভরসা কারে করি ।।

পাবে সামান্যে কি তার দেখা!

পাবে সামান্যে কি তার দেখা!
(ওরে) বেদে নাই যার রূপ-রেখা।।

কেউ বলে, পরম মিষ্টি কারো না হইল দৃষ্টি ।।
বরাতে দুনিয়া সৃষ্টি ।।
তাই নিয়ে লেখাজোখা।
(ওরে) তাই নিয়ে লেখাজোখা।

নিরাকার ব্রহ্ম হয় সে সদাই ফেরে অচিন দেশে ।।
দোসর তাই নাইকো পাশে ।।
ফেরে সে একা একা।
(ওরে) ফেরে সে একা একা।

কিঞ্চিৎ ধ্যানে মহাদেব, সে তুলনা কি আর দেবো ।।
লালন বলে, গুরু ভাবো
যাবে রে মনের ধোঁকা।
(ওরে) যাবে রে মনের ধোঁকা।।

কী সন্ধানে যাই সেখানে

কী সন্ধানে যাই সেখানে
মনের মানুষ যেখানে ।
আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি
দিবারাতি নাই সেখানে ।।

যেতে পথে কামনদীতে
পাড়ি দিতে ত্রিবিনে ।।
কত ধনীর ভারা যাচ্ছে মারা ।।
পইড়ে নদীর তোড় তুফানে ।
দেখো পইড়ে নদীর তোড় তুফানে ।

রসিক যাঁরা চতুর তাঁরা
তাঁরাই নদীর ধারা চেনে ।।
উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে ।।
তাঁরাই স্বরূপ সাধন জানে ।
ওরে তাঁরাই স্বরূপ সাধন জানে ।।

লালন বলে ম’লাম জ্বইলে
ম’লাম আমি নিশিদিনে ।।
আমি মনি হারা ফনির মতন ।।
হারা হলেম দিন নিধনে
আমি হারা হলেম দিন নিধনে ।

আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি
দিবারাতি নাই সেখানে ।।
দেখো দিবারাতি নাই সেখানে ।।
মনের মানুষ যেখানে ।
কী সন্ধানে যাই সেখানে
মনের মানুষ যেখানে ।

আপন ঘরের খবর লে না

অনায়াসে দেখতে পাবি
কোনখানে সাঁইর বারামখানা।
আপন ঘরের খবর লে না।
অনায়াসে দেখতে পাবি
কোনখানে সাঁইর বারামখানা।।

আমি
কোমল ফোটা কারে বলি
কোন মোকাম তার কোথায় গলি ।।
সেইখানে পইড়ে ফুলি
মধু খায় সে অলি জনা।।

সুখ্য জ্ঞান যার ঐক্য মুখ্য
সাধক এর উপলক্ষ ।।
অপরূপ তার বৃক্ষ
দেখলে চক্ষের পাপ থাকে না।।

শুষ্ক নদীর শুষ্ক সরোবর
তিলে তিলে হয় গো সাঁতার ।।
লালন কয়, কীর্তি-কর্মার
কি কারখানা।।

যেখানে সাঁইর বারামখানা

শুনিলে প্রাণ চমকে উঠে
দেখতে যেমন ভুজঙ্গনা ।।
যেখানে সাঁইর বারামখানা

যা ছুঁইলে প্রাণে মরি
এ জগতে তাইতে তরী
বুঝেও তা বুঝতে নারী
কীর্তিকর্মার কি কারখানা ।

আত্নতত্ত্ব যে জেনেছে
দিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে
কুবৃক্ষে সুফল পেয়েছে
আমার মনের ঘোর গেল না ।।

যে ধনে উৎপত্তি প্রাণধন
সে ধনের হল না যতন
অকালের ফল পাকায় লালন
দেখে শুনে জ্ঞান হল না ।।

সময় গেলে সাধন হবে না




সময় গেলে সাধন হবে না
দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধন হবে না

জানো না মন খালে বিলে
থাকে না মিল জল শুকালে ।।
কি হবে আর বাঁধা দিলে
মোহনা শুকনা থাকে, মোহনা শুকনা থাকে,
সময় গেলে সাধন হবে না
সময় গেলে সাধন হবে না

অসময়ে কৃষি কইরে মিছা মিছি খেইটে মরে
গাছ যদি হয় বীজের জোরে ফল ধরে না
তাতে ফল ধরে না,
সময় গেলে সাধন হবে না ।।

অমাবস্যায় পূর্নিমা হয়
মহা জোগ সে দিনের উদয় ।।
লালোন বলে তাহার সময়
দনডোমো রয় না, দনডোমো রয় না,দনডোমো রয় না
সময় গেলে সাধন হবে না

দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধোন হবে না


খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়ে।

আট কুঠুরী নয়
দরজা আটা মধ্যে মধ্যে
ঝরকা কাঁটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায়ে।

কপালের ফের নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার
খাঁচা ভেঙ্গে পাখিয়ামার কোন খানে পালায়।

মন তুই রইলি খাঁচার আসে
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।

আমি অপার হয়ে বসে আছি

আমি অপার হয়ে বসে আছি
ও হে দয়াময়,
পারে লয়ে যাও আমায়।।
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিল পাটে-
(আমি) তোমা বিনে ঘোর সংকটে
না দেখি উপায়।।
নাই আমার ভজন-সাধন
চিরদিন কুপথে গমন-
নাম শুনেছি পতিত-পাবন
তাইতে দিই দোহাই।।
অগতির না দিলে গতি
ঐ নামে রবে অখ্যাতি-
লালন কয়, অকুলের পতি
কে বলবে তোমায়।।

মিলন হবে কত দিনে

মিলন হবে কত দিনে
আমার মনের মানুষের সনে।।
চাতক প্রায় অহর্নিশি
চেয়ে আছি কালো শশী
হব বলে চরণ-দাসী,
ও তা হয় না কপাল-গুণে।।
মেঘের বিদ্যুৎ মেঘেই যেমন
লুকালে না পাই অন্বেষণ,
কালারে হারায়ে তেমন
ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।
যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,
থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-
লালন ফকির ভেবে বলে সদাই
(ঐ) প্রেম যে করে সে জানে।।

জাত গেল জাত

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবি দেখি তা না-না-না।।
আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।
ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাকেও ছাড়বে না।।
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়,
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এ ভ্রম তো গেল না।।

শুক্‌নো পাতার নুপুর পায়ে




শুক্‌নো পাতার নুপুর পায়ে
নাচিছে ঘূর্ণী বায়।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

দীঘির বুকে শতদল দলি’,
ঝরায়ে বকুল চাঁপার কলি,
চঞ্চল ঝর্‌ণার জল ছলছলি,
মাঠের পথে সে ধায়।।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

শুক্‌নো পাতার নুপুর পায়ে
নাচিছে ঘূর্ণী বায়।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

বনফুল-আভরণ খুলিয়া ফেলিয়া,
আলুথালু এলোকেশ গগনে মেলিয়া ।।
পাগলিনী নেচে যায় হেলিয়া দুলিয়া
ধূলি-ধূসর কায়।।
জল-তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
ঢেউ তুলে সে যায়।।

ইরানী বালিকা যেন মরু-চারিণী
পল্লীর প্রান্তর-বন মনোহারিণী ।।
ছুটে আসে সহসা গৈরিক-বরণী
বালুকার উড়নী গায়।।


খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুঁশ হয়ে রই পড়ে

খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুঁশ হয়ে রই পড়ে
ছেড়ে মসজিদ আমার মুর্শিদ এল যে এই পথ ধরে।।

দুনিয়াদারীর শেষে আমার নামাজ রোজার বদলাতে
চাই নে বেহেশত খোদার কাছে।।
নিত্য মোনাজার করে।।
খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে

কায়েস যেমন লায়লী লাগি লভিল মজনু খেতাব,
যেমন ফরহাদ শিরীর প্রেমে হলো দিওয়ানা বেতাব।।
বে-খুদীতে মশগুল আমি ।।
তেমনি মোর খোদার তরে।।
হায়…
খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুঁশ হয়ে রই পড়ে
ছেড়ে মসজিদ আমার মুর্শিদ এল যে এই পথ ধরে।।

পুড়ে মরার ভয় না রাখে, পতঙ্গ আগুনে ধায়,
সিন্ধুতে মেটে না তৃষ্ণা চাতক বারি বিন্দু চায়,
চকোর চাহে চাঁদের সুধা, চাঁদ সে আসমানে কোথায়
সুরুয থাকে কোন্‌ সুদূরে সূর্যমুখী তারেই চায়,
তেমনি আমি চাহি খোদায়, চাহিনা হিসাব ক’রে।।

এই রাঙামাটির পথে লো

এই রাঙামাটির পথে লো
মাদল বাজে বাজে বাঁশের বাঁশি

ও বাঁশি বাজে বুকের মাঝে লো
মন লাগে না কাজে লো
রইতে নারি ঘরে আমার
প্রাণ হলো উদাসী লো

মাদলীয়ার তালে তালে
অঙ্গ ওঠে দুলে লো
দোল লাগে শাল পিয়াল বনে
নতুন খোপার ফুলে লো
মহুয়া বনে লুটিয়ে পরে
মাতাল চাঁদের হাসি লো

চোখে ভালো লাগে যাকে
তারে দেখবো পথের বাঁকে
তার চাচড় কেশে পড়িয়ে দেবো
ঝুমকো জবার ফুল লো
তার গলার মালার কুসুম কেড়ে
পড়বো কানের দুল
তার নাচের তালের ইশারাতে
বলবো ভালোবাসি লো

বসন্ত মুখর আজি

বসন্ত মুখর আজি
দক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনে
বনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি’।।
অকারণ ভাষা তা’র ঝর ঝর ঝরে
মুহু মুহু কুহু কুহু পিয়া পিয়া স্বরে,
পলাশ বকুলে অশোক শিমুলে
সাজানো তাহার কল-কথার সাজি।।
দোয়েল, মধুপ বন-কপোত-কূজনে
ঘুম ভেঙে দেয় ভোরে বাসর শয়নে।
মৌনী আকাশ সেই বাণী-বিলাসে
অস্ত-চাঁদের মুখে মৃদু মৃদু হাসে।
বিরহ শীর্ণা গিরি-ঝরণার তীরে
পাহাড়ী বেণু হাতে ফেরে সুর ভাঁজি।।

মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম

মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম
ছিলাম নদীর চরে
যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে।।

তমাল তরু চাঁপা-লতার মত
জড়িয়ে কত জনম হ’ল গত
সেই বাঁধনের চিহ্ন আজো জাগে
জাগে হিয়ার থরে থরে।।

বাহুর ডোরে বেঁধে আজো ঘুমের ঘোরে যেন
ঝড়ের বন-লতার মত লুটিয়ে কাঁদ কেন
বনের কপোত কপোতাক্ষীর তীরে
পাখায় পাখায় বাঁধা ছিলাম নীড়ে
চিরতরে হ’ল ছাড়াছাড়ি
নিঠুর ব্যাধের শরে।।

কেন আনো ফুলোডোর

কেন আনো ফুলোডোর
কেন আনো ফুলোডোর
আজি বিদায়ও বেলা
মোছো মোছো আঁখিলোর
যোগী ভাঙ্গিলো মেলা

কেন মেঘেরো স্বপন
আনো মরূরও চোখে
ভুলে দিও না কুসুম
যারে দিয়েছো হেলা

যবে শুকালো কানন
এলে বিঁধুর পাখি
লয়ে কাঁটা ভরা প্রান
একি নিঠুরও খেলা

যদি আকাশ কুসুম
পেলি চকিতে কবি
চলো চলো মুসাফির
ডাকে পারেরও বেলা

আছে বাহুরও বাঁধন
তব শয়ন সাথি
আমি এসেছি একা
আমি চলি একেলা

কেন আনো ফুলোডোর
আজি বিদায়ও বেলা
মোছো মোছো আঁখিলোর
যোগী ভাঙ্গিলো মেলা

প্রজাপতি প্রজাপতি

প্রজাপতি প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা।।

তুমি টুলটুলে বন-ফুলে মধু খাও
মোর বন্ধু হয়ে সেই মধু দাও,
ওই পাখা দাও সোনালী-রূপালী পরাগ মাখা।।
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা

মোর মন যেতে চায় না পাঠশালাতে
প্রজাপতি, তুমি নিয়ে যাও সাথী করে তোমার সাথে।
তুমি হাইয়ায় নেচে নেচে যাও
আর তোমার মত মোরে আনন্দ দাও,
এই জামা ভাল লাগে না দাও জামা ছবি-আঁকা।।
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
প্রজাপতি প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা।।

এই শিকল পরা ছল

এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল
এই শিকল পরেই
শিকল তোদের করবো রে বিকল।।

তোদের বন্ধ কারায় আসা
মোদের বন্দী হতে নয়
ওরে ক্ষয় করতে আসা
মোদের সবার বাঁধন ভয়
এই বাঁধন পরেই বাঁধন ভয়কে
করব মোরা জয়
এই শিকল বাঁধা পা নয়
এ শিকল ভাঙ্গা কল।।

তোমরা বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে করছ বিশ্ব গ্রাস
আর ত্রাশ দেখিয়ে করবে ভাবছ বিধির শক্তি গ্রাস ।।
সেই ভয় দেখানো ভু্তের মোরা করবো সর্বনাশ
এবার আনবো না হয় বিজয় মন্ত্র
বল হীরের দল
এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল

তোমরা ভয় দেখিয়ে করছ শাসন
জয় দেখিয়ে নয়
সেই ভয়ের টুটি ধরবো চেপে
করবো তারই লয় ।।
মোরা আসলি মরে
মরার দেশে আনবো পরাভয়
মোরা ফাসি পরেই আনবো হাসি
মৃত্যু জয়ের গল
এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল

ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন
এই শিকল ঝন ঝনা
এ যে মুক্তি পথের অগ্রদূতের
চরণ বন্দনা।
এই লাঞ্ছিতেরাই অত্যাচারকে
হানছে লাঞ্ছনা
ওদের অস্থি দিয়েই জ্বলবে দেশে
আবার বজ্রানল।
এই শিকল পরা ছল
মোদের এই শিকল পরা ছল

ভরিয়া প্রাণ শুনিতেছি গান

ভরিয়া প্রাণ শুনিতেছি গান
আসিবে আজ বন্ধু মোর।
স্বপন মাখিয়া সোনার পাখায়
আকাশে উধাও চিত-চকোর।
আসিবে আজই বন্ধু মোর।।
হিজল বিছানো বন পথ দিয়া
রাঙায়ে চরণ আসিবে গো প্রিয়া।
নদীর পারে বন কিনারে
ইঙ্গিত হানে শ্যাম কিশোর।
আসিবে আজই বন্ধু মোর।।
চন্দ্রচূড় মেঘের গায়
মরাল-মিথুন উড়িয়া যায়,
নেশা ধরে চোখে আলো-ছায়ায়
বহিছে পবন গন্ধ চোর।
আসিবে আজই বন্ধু মোর।।

আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া।

আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া।
চম্পা কুঞ্জে আজি গুঞ্জে ভ্রমরা-কুহরিছে পাপিয়া।।
প্রেম-কুসুম শুকাইয়া গেল হায়!
প্রাণ-প্রদীপ মোর হের গো নিভিয়া যায়,
বিরহী এসে ফিরিয়া।।
তোমারি পথ চাহি হে প্রিয় নিশিদিন
মালার ফুল মোর ধুলায় হ’ল মলিন
জনম গেল ঝুরিয়া।।

অরুণকান্তি কেগো যোগী ভিখারী

অরুণকান্তি কেগো যোগী ভিখারী
অরুণকান্তি কেগো যোগী ভিখারী।
নীরবে হেসে দাঁড়াইলে এসে
প্রখর তেজ তব নেহারিতে নারি।।
রাস-বিলাসিনী আমি আহিরিণী
শ্যামল-কিশোর-রূপ শুধু চিনি
অম্বরে হেরি আজ একি জ্যোতি-পুঞ্জ?
হে গিরিজাপতি! কোথা গিরিধারী।।
সম্বর সম্বর মহিমা তব
হে ব্রজেশ ভৈরব! আমি ব্রজবালা,
হে শিব সুন্দর! বাঘছাল পরিহর-
ধর নটবর বেশ পর নীপমালা।
নব-মেঘ-চন্দনে ঢাকি’ অঙ্গগজ্যোতি
প্রিয় হ’য়ে দেখা দাও ত্রিভুবন-পতি,
পার্ব্বতী নহি আমি, আমি শ্রীমতী,
বিষাণ ফেলিয়া হও বাঁশরী-ধারী।।

নাম মুহাম্মদ বোল রে মন

নাম মুহাম্মদ বোল রে মন, নাম আহেম্মদ বোল
যে নাম নিয়ে চাঁদ সিতারা আসমানে খায় দোল।।

পাতায় ফুলে যে নাম আঁকা
ত্রিভুবনে যে নাম মাখা।
যে নাম নিয়ে হাসীন ঊষার রাঙ্গে রে কপোল।।

যে নাম গেয়ে ধায়রে নদী
যে নাম সদা গায় জলধি।
যে নাম বহে নিরবধি,
যে নাম বহে নিরবধি পবন হিল্লোল।।

যে নাম রাজে মরু সাহারায়
যে নাম বাজে শ্রাবন- ধারায়
যে নাম চাহে কাবার মসজিদ,
যে নাম চাহে কাবার মসজিদ মা আমিনার কোল।।

এল এ বনান্তে পাগল বসন্ত।

এল বনান্তে পাগল বসন্ত।
বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রে, চঞ্চল তরুণ দুরন্ত।
বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর,
পান্ডু-কপোলে জাগে রং নব অনুরাগে
রাঙা হল ধূসর দিগন্ত।।
কিশলয়ে-পর্ণে অশান্ত ওড়ে তা’র অঞ্চল প্রাস্ত।
পলাশ-কলিতে তা’র ফুল-ধনু লঘু-ভার,
ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।
এলো মেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে।
অকারণ মন মাঝে বিরহের বেণু বাজে।
জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।।

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেবনা ভুলিতে।

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব,
তবু আমারে দেবনা ভুলিতে।
আমি বাতাস হইয়া জড়াইব কেশে,
বেণী যাবে যবে খুলিতে।।
তবু আমারে দেবনা ভুলিতে।

তোমার সুরের নেশায় যখন
ঝিমাবে আকাশ কাঁদিবে পবন,
রোদন হইয়া আসিব তখন তোমার বক্ষে দুলিতে।
তবু আমারে দেবনা ভুলিতে।

আসিবে তোমার পরমোৎসবে কত প্রিয়জন কে জানে,
মনে প’ড়ে যাবে–কোন্‌ সে ভিখারী পায়নি ভিক্ষা এখানে।
তোমার কুঞ্জ-পথে যেতে, হায়!
চমকি’ থামিয়া যাবে বেদনায়
দেখিবে, কে যেন ম’রে পরে আছে
তোমার পথের ধূলিতে।
তবু আমারে দেবনা ভুলিতে।

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব,
তবু আমারে দেবনা ভুলিতে।

শূণ্য এ বুকে পাখি মোর আয়

শূণ্য এ বুকে পাখি মোর আয়
ফিরে আয় ফিরে আয়।

তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল
অকালে ঝরিয়া যায়।।

তুই নাই বলে ওরে উন্মাদ
পান্ডুর হলো আকাশের চাঁদ
কেঁদে নদী হলো করুণ বিষাদ
ডাকে আয় তীরে আয়।।

আকাশে মেলিয়া শত শতকর
খোঁজে তোরে তবু ওরে সুন্দর
তোর তরে বনে উঠিয়াছে ঝড়
লুটায় লতা ধূলায়।।

তুই ফিরে এলে ওরে চঞ্চল
আবার ফুটিবে বন ফুল দল
ধূসর আকাশ হইবে সুনীল
তোর চোখের চাওয়ায়।।

পদ্মার ঢেউ রে

পদ্মার ঢেউ রে
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে।।

এই পদ্মে ছিলো রে যার রাঙা পা
এই পদ্মে ছিলো রে যার রাঙা পা
আমি হারায়েছি তারে
আমি হারায়েছি তারে।।

মোর পরাণও বধু নাই
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
পরাণও বধু নাই
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
বাতাস কাঁদে বাইরে
সে সুগন্ধ নাইরে

মোর রূপেরও সরষিতে, আনন্দ মৌমাছি।
নাহি ঝংকারে রে।।

ও পদ্মা রে, ঢেউয়ে তোর ঢেউ উঠায় যেমন চাঁদেরও আলো।
মোর বধুয়ার রূপ তেমনি ঝিলমিল করে কৃষ্ণ-কালো।

ও সে প্রেমেরও ঘাটে ঘাটে বাঁশি বাজায়।
যদি দেখিস তারে দিস সে পদ্ম তার পায়।

বলিস কেন বুকে আশার দেয়ালে জ্বালিয়ে
চলে গেলো চির অন্ধকারে।।

Thursday, 19 July 2012

ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে

ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে
রইবনা আর বেশী দিন তোদের মাজারে
হায়রে ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে
রইবনা আর বেশী দিন তোদের মাজারে
হায়রে ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে।

ও আমি চলতে পথে দু’দিন থামিলাম
ভালোবাসার মালা খানি গলে পরিলাম
আমি গলে পরিলাম।
ও আমি চলতে পথে দু’দিন থামিলাম
ভালোবাসার মালা খানি গলে পরিলাম
আমার সাধের মালা
আমার সাধের মালা যায়রে ছিড়ে
রইবনা আর বেশী দিন তোদের মাজারে
হায়রে ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে।।

ও অমি কত জনে কত কি দিলাম
যাইবার কালে একজনারো দেখা না পাইলাম
আমি দেখা না পাইলাম।
ও অমি কত জনে কত কি দিলাম
যাইবার কালে একজনারো দেখা না পাইলাম
আমার সংগের সাথী
আমার সংগের সাথী কেউ হলো না রে
রইবনা আর বেশী দিন তোদের মাজারে
হায়রে ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে
রইবনা আর বেশী দিন তোদের মাজারে।।

আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে

আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে
ধুত্তুর ধুত্তুর ধুত্তুর ধু সানাই বাজিয়ে।
যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

(যা যা…)
তোমার ভাঙা গাড়িতে আমি যাবো না
কারো ঘরের ঘরণী আমি হবো না
করবো না তো কোনো দিনও বিয়ে

এ হে, যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

আলতা দেবো তিকলি দেবো, দেবো সোনার চুড়ি
(না না না না না না…)
আরে, শহর থেকে আনবো কিনে বেনারসী শাড়ি

(আরে, না না না না না…)
গয়না-গাটি চাইনা আমি চাইনা শাড়ি চুড়ি
(হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
সবই আমার বাপের বাড়ি আছে ভুরিভুরি
(আরে, হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
ভরবেনা মন কোনো কিছু দিয়ে

হে, যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

আদর দেবো সোহাগ দেবো, দেবো ভালোবাসা
(না না না না না না…)
আরে, জীবন দিয়ে করবো পূরণ তোমার সকল আশা
(না না না না না না…)

ইন্দ্রপুরে মনের ঘরে দিও নাকো হানা
(হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
এই সব কথা শোনা পাপ গুরুজনের মানা
(আরে, হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
এই, পায়ে ধরি চল বাড়ি নিয়ে

যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

পৃথিবীর যত সুখ

পৃথিবীর যত সুখ, যত ভালবাসা
সবই যে তোমায় দেব, একটাই আশা
তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে।

ভাবিনি কখনো, এ হৃদয় রাঙানো
ভালবাসা দেবে তুমি
দুয়ারে দাঁড়িয়ে, দু’বাহু বাড়িয়ে
সুখেতে জড়াব আমি
সেই সুখেরই ভেলায়
ভেসে স্বপ্ন ডানা মেলব এসে
এক পলকে পৌঁছে যাব, রুপকথারই দেশে
তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে।।

রয়েছে এখনো এ বুকে লুকানো
রাত জাগা স্বপ্ন ঘুমিয়ে
মেঘেতে দাঁড়িয়ে, আকাশে হারিয়ে
যতনে রেখ গো তুমি
সেই মেঘেরই আঁচল এনে
আমায় তুমি নাও গো টেনে
রং-তুলিতে আঁকব ক্ষণ
রুপ কুমারের দেশে

তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি ভালবাসি তোমাকে।।

আকাশের হাতে আছে এক রাশ নীল

আকাশের হাতে আছে এক রাশ নীল,
বাতাসের আছে কিছু গন্ধ।
রাত্রির গায়ে জ্বলে জোনাকী
তটিনীর বুকে মৃদু ছন্দ।।

আমার এ দু’হাত শুধু রিক্ত,
আমার এ দু’চোখ জলে সিক্ত।।
বুক ভরা নীরবতা নিয়ে অকারণ ।।
আমার এ দুয়ার হলো বন্ধ।।

ভেবে তো পাইনি আমি
কি হলো আমার।
লজ্জা প্রহরী কেন,
খোলে নাকো দ্বার।

বুঝি না কেমন করে বলব,
খেয়ালে কতই ভেসে চলব। ।
বলি বলি করে তবু বলা হলো না।।
জানি না কিসে এতো দ্বন্দ্ব।।

নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন

নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম
বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌঁছাইতাম
বন্ধুরে তোর লাগি পরবাসী হইলাম।।

শিমূল যদি আমি হইতাম শিমূলের ডালে
শোভা পাইত রূপ আমার ফাগুনেরও কালে।
বিধিরে কেনরে নারী হইতে গেলাম।।

গলায় দিল নিঠুর ফাঁসি পিরিতেরও মালা
কার দেওয়া রাখি হইল আমারও জ্বালা
সখীরে কেনরে ভালোবেসেছিলাম।।

পথে চলতে পথ চলতে




পথে চলতে পথ চলতে
কখনো পিছু থমকে।
বার বার শুধু ফিরে চাওয়া
বার বার একই গান গাওয়া
এটাই বোধ হয় ভালবাসা
এটাই বোধ হয় প্রেম।।

নীলিমার পানে মুগ্ধ চোখে
নিরবে শুধু চেয়ে থাকা
কারো দুটি খোলা চোখে
অপরূপ যেন শুধু দেখা
ভাল লাগা ভাল লাগা দারুন ভালো লাগা

এটাই বোধ হয় ভালবাসা
এটাই বোধ হয় প্রেম।।

সময় যেন কাটে না আর
এক ঘেয়ে লাগে না কিছু।

সময় যেন মন শুধু
ছুটে যায় স্বপ্নের পিছু
ভাল লাগা ভাল লাগা দারুন ভালো লাগা

এটাই বোধ হয় ভালবাসা
এটাই বোধ হয় প্রেম।।


পেটকাটি চাঁদিয়াল

পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক, মাটিতে অবজ্ঞা।।

বয়স বারো কি তেরো ।।
রিকশা চালাচ্ছে,
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক ছেলেটাকে ডাকছে।
বয়স বারো কি তেরো, বড়জোর চোদ্দ,
রিক্শা চালাতে শিখে নিয়েছে সে সদ্য।

ছেলেটার মন নেই প্যাডেলে বা চাক্কায়।।
ঐ তো লেগেছে প্যাঁচ চাঁদিয়াল বগ্গায়।
শান্ দেওয়া মানজায়, বগ্গা ভো কাট্টা।
ছেলেটা চেঁচিয়ে ওঠে “এই নিয়ে আটটা”।

সওয়ার বাবুটি ভাবে, দেরি হয়ে যাচ্ছে।
বিচ্ছু ছোঁড়াটা বড় আস্তে চালাচ্ছে।
“ওই ছোঁড়া, আরে ওই ছোঁড়া ম’ল যা
আট্টা তো তোর কি ?”
সওয়ার বাবুটি দেন রেগে মেগে হুমকি।

বাবুর খ্যাঁকানি শুনে সম্বিত্ ফিরে পায়
ছেলেটা যে করে হোক রিক্শা চালিয়ে যায়।

এ কিশোর পারবে কি এই বোঝা টানতে ?
এই বাবু কোনো দিন পারবে কি জানতে ?

যে ছেলেটা প্রাণপণে রিক্শা চালাচ্ছে,
মুক্তির ঘুড়ি তাকে খবর পাঠাচ্ছে।
পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক, মাটিতে অবজ্ঞা।
পেটকাটি চাঁদিয়াল…

আমি ফাইসা গেছি

আমি ফাইসা গেছি,
আমি ফাইসা গেছি,
আমি ফাইসা গেছি
মাইনকার চিপায়।
আমারও দিলের চোট
বোঝে না কোনো হালায়।।
কোন্‌ পাগলে পাইছিল
করছে শখের শাদী।
ক্ষমতার ঝিম-তিম,
ভাবে শাহজাদী।
সকাল-বিকাল, রাইত-দুপুর
বউয়ে দেয় ঠেলা।
কয় ‘বউ পুষার মুরাদ নয়
তয় বিয়া করছস কেলা।’
আমি এধার কামাল ওধার করি
সারাদিন ফেচকি মারি।
দিনের বেলায় আরতদারী
রাইতে চোরাকারবারি।
দিন-দুনিয়া সবই গেল
জীবন ভেস্তে যায়।।
মাইয়া আমার চিজ একখান
যেমুন ফিল্মের নায়িকা,
মাধুরী, ঐশ্বরিয়া, কাজলরে
কয় অফ যা।
পোলায় আমার শিক্ষিত
পড়ে দশ কেলাসের উপরে।
হাত খরচা না দিলে
ইংলিশে গাইল পাড়ে।
মনে মনে কই আমি
গাইলের আর হুনছস কি
আমগ গাইল হুনলে পড়ে
খাড়াইব মুরগাদি।
আমি হালায় কুলুর বলদ
ফাইটা জীবন যায়।।

অ্যাম্বিশনঃ কেউ হতে চায়……

কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার,
কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী কেউ বা ব্যারিস্টার,
কেউ চায় বেচতে রূপোয় রূপের বাহার চুলের ফ্যাশান।

আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।

ঠকানোই মূল মন্ত্র, আজকের সব পেশাতে,
পিছপা নয় বিধাতাও, তেলেতে জল মেশাতে।
ডাক্তার ভুলছে শপথ, ঘুশ খায় ইঞ্জিনিয়ার,
আইনের ব্যবচ্ছেদে, ডাক্তার সাজে মোক্তার।

যদি চাও সফলতা, মেনে নাও এই সিস্টেম,
ফেলে দাও শ্রোতের মুখে, আদর্শ বিবেক ও প্রেম।
এ সমাজ মানবে তোমায়, গাইবে তোমারই জয়গান।

আমি কোনে বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।

বড় যদি চাইবে হতে, সেখানেও লোক ঠকানো।
সতভাবে বাঁচো বাঁচাও, একথা লোক ঠকানো।
সতভাবে যাবে বাঁচা, বড় হওয়া যাবে নাকো।
শুধু কথা না শুনে, বড়দের দেখেই শেখ।
এ সবই থাক তোমাদের, আমি বড় চাই না হতে,
ধুলো মাখা পথই আমার, তুমি চোড়ো জয়োরথে।
শত লাঞ্ছণা দিও, কোরো আমায় অসম্মান।

তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।

কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার,
কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী, কেউ বা ব্যারিস্টার,
কেউ চায় বেচতে রূপোয়, রূপের বাহার চুলের ফ্যাশান।

আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
আমি কোনে বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।

ভালবাসি বলে রে বন্ধু

থাকতে যদি না পাই তোমায়
চাইনা মরিলে
আমায় কাঁদালে
ভাল বাসি বলে রে বন্ধু
আমায় কাঁদালে রে বন্ধু
তাই বুঝি আজ বুক ভেসে যায়
নয়নের জলে
আমায় কাদালে

ভালবাসা করে যে জন
কাঁদিতে হয় অতি গোপন ।।
শুস্ক বৃক্ষের কষ্ট যেমন
পাতা নাই ডালে
আমায় কাঁদাল………

ভালবাসা এমন রীতি
কাঁদিতে হয় দিবা নিশি ।।
তবু আমি মালা গাঁথি
পরেছি গলে
আমায় কাঁদালে

ভালবাসি বলে বন্ধু

মাটিরও পিঞ্জিরা

মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে

মায়ে বাপে কইরা বন্দী খুশিরও মাজারে
মায়ে বাপে কইরা বন্দী খুশিরও মাজারে
লালে ধলায় হইলাম বন্দী পিঞ্জিরার ভিতরে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে

মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে

পিঞ্জিরায় সামাইয়া ময়নায় ছটফট ছটফট করে
পিঞ্জিরায় সামাইয়া ময়নায় ছটফট ছটফট করে
মজবুতও পিঞ্জিরা ময়নায় ভাঙ্গিতে না পারে রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে

উড়িয়া যাইব সুয়া পাখি পইরা রইব কায়া
উড়িয়া যাইব সুয়া পাখি পইরা রইব কায়া
কিসের দেশ কিসের খেশ কিসের মায়া দয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে

হাছন রাজায় ডাকতো যখন ময়না আয় রে আয়
হাছন রাজা ডাকতো যখন ময়না আয় রে আয়
এমনও নিষ্ঠুরও ময়না আর কি ফিরা চায় রে

কান্দে হাছন রাজার মনমুনিয়া রে

গান গাই আমার মনরে বুঝাই

গান গাই আমার মনরে বুঝাই
মন থাকে পাগলপারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গানে বন্ধুরে ডাকি গানে প্রেমের ছবি আঁকি
পাব বলে আশা রাখি না পাইলে যাব মারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গান আমার জপমালা গানে খুলে প্রেমের তালা
প্রাণ বন্ধু চিকন কালা অন্তরে দেয় ইশারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

ভাবে করিম দ্বীনহীন আসবে কি আর শুভদিন
জল ছাড়া কি বাঁচিবে মীন ডুবলে কি ভাসে মরা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

কানার হাট বাজার…

গুরু গো…………ও ও ও ………ও ও ও ও

বেধ বিধির পথ শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার
এসব দেখি কানার হাট বাজার…

এক কানা কয় আর এক কান।রে
চল এবার ভব পারে ।।
নিজে কানা
পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারং বার
এসব দেখি কানার হাট বাজার……

পন্ডিত কানা অহংকারে
সাধু কানা অন্-বিচারে
পন্ডিত কানা অহংকারে
মোড়ল কানা চুগলখোরে
আন্দাজে এক খুটি গেরে ।।
জানেনা সীমানা কার
এসব দেখি কানার হাট বাজার…।।

কানায় কানায় হোলা মেলায়
বোবাতে খায় রস গোল্লা গো
আবার লালন বলে মদনা কানা
ঘুমের ঘোরে দেয় বাহার
এসব দেখি কানার হাটবাজার……

বসন্ত বাতাসে সইগো

বসন্ত বাতাসে সইগো
বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে

বন্ধুর বাড়ির ফুলবাগানে
নানান রঙের ফুল
ফুলের গন্ধে মন আনন্দে
ভ্রমর হয় আকুল

বন্ধুর বাড়ির ফুলের বন
বাড়ির পূর্বধারে
সেথায় বসে বাজায় বাঁশী
মন নিল তার সুরে

মন নিল তার বাঁশীর তানে
রূপে নিল আঁখী
তাইতো পাগল আব্দুল করিম
আশায় চেয়ে থাকে

তাকডুম তাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল

তাকডুম তাকডুম বাজাই
আমি তাকডুম তাকডুম বাজাই
বাংলাদেশের ঢোল
সব ভুলে যাই
তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল

বাংলা জনম দিলা আমারে ।।
তোমার পরান আমার পরান
এক নাড়িতে বাঁধা রে
মা-পুতের এ বাঁধন ছেড়ার
সাধ্য কারো নাই
সব ভুলে যাই
তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল

মা তোমার মাটির সুরে সুরেতে ।।
আমার জীবন জুড়াইলা মাগো
বাউল ভাটিয়ালিতে
পরান খুইলা মেঘনা তিতাস
পদ্মারই গান গাই
সব ভুলে যাই
তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল

বাজে ঢোল নরম গরম তালেতে
বিসর্জনের ব্যাথা ভোলায়
আগমনের সুরেতে
বাংলাদেশের ঢোলের বোলে
ছন্দ পতন নাই
সব ভুলে যাই
তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।।

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা
যার নদী জল ফুলে ফুলে মোর স্বপ্ন আঁকা।
যে দেশের নীল অম্বরে মন মেলছে পাখা
সারাটি জনম সে মাটির টানে অস্ত্র ধরি।।

মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি―
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।।

যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে
যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্ব ভোলে
যে গৃহ কপোত সুখ স্বর্গের দুয়ার খোলে
সেই শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি।।

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।।

আমি বাংলায় গান গাই

আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলায় গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রাণের সুখ
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |

আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় চিত্কার
বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান ক্ষিপ্ত তীর ধনুক,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |

আমি বাংলায় ভালবাসি, আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি
আমি যা’কিছু মহান বরণ করেছি বিনয় শ্রদ্ধায়
মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |

মাঝি নাও ছাইরা দে

মাঝি নাও ছাইরা দে
ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে
গা-রে মাঝি গা কোন গান।।

একদিন তোর নাও মাঝি
ভাসবে না রে নীল নদীতে রে
সেদিন তোর গান মাঝি
শুনবে না কেউ গাইবে না বলে-
ও মাঝি রে, ও কলের নৌকা কাইরা নিবে সুর।।

যন্ত্রের নাও ধোঁয়া ছাইরা
আঁধার করল নীল আকাশটারে, ও মাঝি রে-
সেদিন তোর নাও মাঝি
শূণ্য হয়ে থাকবে রে পরে-
ও মাঝি রে-
ও চল রে মাঝি যাইরে বহু দূর।।

সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি

সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ, প্রিয় জন্মভূমি।।

জলসিঁড়ি নদীর তীরে,
তোর খুশির কাঁকন যেন বাজে
ও—কাশবনে ফুলে ফুলে,
তোর মধুর বাসর যেন সাজে
তোর একতারা হায়,
করে বাউল আমায় সুরে সুরে।।

আঁকাবাঁকা মেঠো পথে
তোর রাখাল হৃদয় যেন হাসে
ও—পদ্ম পাতা, দীঘির ঝিলে
তোর সোনার স্বপন যেন ভাসে
তোর এই আঙিনায়
ধরে রাখিস আমায় চিরতরে।।

একতারা তুই দেশের কথা

একতারা তুই দেশের কথা
বলরে এবার বল
আমাকে তুই বাউল করে, সঙ্গে নিয়ে চল
জীবন মরণ মাঝে, তোর সুর যেন বাজে।।

একটি কথা আমি শুধু বলে যেতে চাই
বাংলা আমার সুখে-দুখে হয় যেন গো ঠাই রে।।

একটি গান আমি শুধু গেয়ে যেতে চাই,
বাংলা আমার, আমি যে তার
আর তো চাওয়া নাই রে।।

প্রাণের প্রিয় তুমি, মোর সাধের জন্মভূমি
তোমায় বরণ করে
যেন যেতে পারি মরে।।

নোঙর তোল তোল সময় যে হোল হোল

নোঙর তোল তোল সময় যে হোল হোল

নোঙর তোল তোল সময় যে হোল হোল
নোঙর তোল তোল সময় যে হোল হোল
নোঙর তোল তোল সময় যে হোল হোল (হেই ইয়ারে হেই ইয়া হো…)

হাওয়ার বুকে নৌকা এবার
জোয়ারে ভাসিয়ে দাও
শক্ত মুঠির বাঁধনে বাঁধনে বজ্র বাঁধিয়া নাও।।

সম্মুখে এবার দৃষ্টি তোমার পেছনের কথা ভোল
দূর দিগন্তে সূর্য রথে
দৃষ্টি রেখেছে স্থির
সবুজ আশার স্বপ্নেরা আজ
নয়নে করেছে ভিড়।

হৃদয়ে তোমার মুক্তি আলো
আলোর দুয়ার খোলো।

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর,
পাড়ি দিব রে
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি রে।।
জীবন কাটি যুদ্ধ করি
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করি
জীবনের সাধ নাহি পাই।।

ঘর-বাড়ির ঠিকানা নাই
দিন-রাত্রি জানা নাই
চলার ঠিকানা সঠিক নাই।।

জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর মাঝি রে।
জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না
জ্যোৎস্নার দৃশ্য চোখে পড়ে না
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না।।

বৈশাখেরই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছেঁড়ে যায়।।

হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায়
হঠাৎ কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ঐ ভোরের পাখি গায়।।

তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পারে নিতে হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে।
তীরহারা এই ঢেউয়ের
সাগর পারি দিব রে।।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারী

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।।
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু
গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী।।
আমার সোনার দেশের
রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী।।

জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।

সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।

সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা




ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা,
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা,
ওসে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সেদেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি,
সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি।

চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা, কোথায় উজান এমন ধারা,
কোথায় এমন খেলে তড়িৎ, এমন কালো মেঘে,
ও তার পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে পাখির ডাকে জেগে।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি,
সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি।

এতো স্নিগ্ধ নদী তাহার, কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়,
কোথায় এমন হরিৎ ক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে,
এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায়, বাতাস তাহার দেশে।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি,
সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি।

পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি,
গুঞ্জরিয়া আসে অলি, পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে,
তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি,
সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি।

ভাইয়ের মায়ের এতো স্নেহ, কোথায় গেলে পাবে কেহ,
ও মা তোমার চরণ দুটি বুকে আমার ধরি,
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি,
সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি।


সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে

 

সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে
খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ।

দৃষ্টি থেকে তার বৃষ্টি গেছে কবে শুকিয়ে
সে তো অশ্রু মুছেনা আর গোপনে আঁচলে মুখ লুকিয়ে
শুধু শূণ্যে চেয়ে থাকে যেন আকাশের সীমা ছাড়িয়ে
খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ।

দস্যি ছেলে সেই যুদ্ধে গেল ফিরলো না আর
আজো শূণ্য হৃদয়ে তার গুমড়ে গুমড়ে যায় হাহাকার
খোকা আসবে,ঘরে আসবে যেন মরণের সীমা ছাড়িয়ে
খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ।

আমায় ডেকো না

আমায় ডেকো না.. ফেরানো যাবে না
ফেরারী পাখিরা কুলায় ফেরে না ।।

বিবাগী এ মন নিয়ে.. জন্ম আমার
যায় না বাঁধা আমাকে কোন কিছুর টানের মায়ায়
আমায় ডেকো না.. ফেরানো যাবে না
ফেরারী পাখিরা কুলায় ফেরে না ।।

শেষ হোক এই খেলা.. এবারের মতন
মিনতি করি আমাকে হাসিমুখে বিদায় জানাও
আমায় ডেকো না.. ফেরানো যাবে না
ফেরারী পাখিরা কুলায় ফেরে না ।।

একটা গোপন কথা

একটা গোপন কথা ছিল বলবার
বন্ধু সময় হবে কি তোমার
একবার শুনে ভুলে যেও বারবার
ভুলেও কাউকে বলনা আবার
মুখে ভালবাসি না বলে মনেতে
প্রেম নিয়ে চলে আছে অনেকে
এতদিন ছিল সাধারণ
তার মাঝে একজন যাকে আজ বড় আলাদা লাগে
মন আঁধারের নিলীমায়
তোমাকেই আজ খুঁজতে চাই
জানিনা কোথায় পাব তোমায়
একবার এসেই দেখ আমায়
ভেবেছি তা এইবার যা কিছু হবে হবার মুখ তবু করে ¯ী^কার
পরাজয় মেনে নিয়ে, সবকিছু ভুলে গিয়ে চাইব আমার অধিকার
কপালে যা আছে লেখা মনে যদি পাইও ব্যথা
দেখে নেব আমি এর শেষ
মিথ্যে অভিনয় আর নয় আর নয় এই ভাল আছি এই বেশ
মন আঁধারের নিলীমায়
তোমাকেই আজ খুঁজতে চাই
জানিনা কোথায় পাব তোমায়
একবার এসেই দেখ আমায়

প্রতিদিন এ গলি ও গলিতে ঘুরে কেটে যায় সময় আসে রাত
মেয়েটা বাঁকা করে চুল বাঁধে প্রেম করে দেখ
ছেলেটাও পরে ফুল হাতা শার্ট
এই দেখে হাসাহাসি গান টাকে ভালবাসি
এই ভাল আছি এই স্বপ্ন আমার
কখনও বুঝিনি যে তা এটা ছিল যে সূচনা
আছে বাঁকি স্বপ্নের উপসংহার
মন আঁধারের নিলীমায়
তোমাকেই আজ খুঁজতে চাই..

লালন তোমার আরশী নগর

লালন তোমার আরশী নগর
আর কতদূর
আর কতদূর
লালন তোমার আরশী নগর
আর কতদূর ……

অচেনা এক পড়শী খুঁজে
কাটলো সকাল কাটলো দুপুর
লালন তোমার………

তুমি আমি কেউ দেখিনি
কেমনে তবে পরশী চিনি
দেখি না কে বাজায় বাধি
আমি শুধু শুনি সে সূর
অচেনা এক পড়শী খুঁজে
কাটলো সকাল কাটলো দুপুর
লালন তোমার………

অচেনা এক পড়শী খুঁজে
কাটলো সকাল কাটলো দুপুর
লালন তোমার………

রূপের ঐ প্রদীপ জ্বেলে কী হবে তোমার

রূপের ঐ প্রদীপ জ্বেলে কী হবে তোমার
কাছে কেউ না এলে আর
মনের ঐ এত মধু কেন জমেছে
যদি কেউ না থাকে নেবার।।

ও নূপুর না বাজালে কারো বাঁশিতে
ও হাসি না মেশালে কারো হাসিতে।

তোমার ঐ সোনার ফাগুন কী দাম পাবে।
যদি কেউ না থাকে দেবার।।

এ জীবন না জড়ালে কারো জীবনে
এ স্বপন না ছড়ালে কারো স্বপনে।

রঙিন ঐ দিনগুলি কী এমন রবে।
সাড়া কেউ দিবে না যে আর। ।

আমি এক যাযাবর

আমি এক যাযাবর, আমি এক যাযাবর
পৃথিবী আমাকে আপন করেছে, ভুলেছি নিজের ঘর।।

আমি গঙ্গার থেকে মিসিসিপি হয়ে ভলগার রূপ দেখেছি
অটোয়ার থেকে অস্ট্রিয়া হয়ে প‌্যারিসের ধূলো মেখেছি
আমি ইলোরার থেকে রং নিয়ে দূরে শিকাগো শহরে দিয়েছি
গালিবের শের তাশখন্দের মিনারে বসে শুনেছি।।

মার্ক টোয়েনের সমাধিতে বসে গোর্কির কথা বলেছি
বারে বারে আমি পথের টানেই পথকে করেছি ঘর
তাই আমি যাযাবর, তাই আমি যাযাবর।।

বহু যাযাবর লক্ষ্যবিহীন, আমার রয়েছে পণ
রঙের খনি যেখানে দেখেছি, রাঙিয়ে নিয়েছি মন
আমি দেখেছি অনেক গগনচুম্বী অট্টালিকার সারি
তার ছায়াতেই দেখেছি অনেক গৃহহীন নরনারী
আমি দেখেছি অনেক গোলাপ-বকুল, ফুটে আছে থরে থরে
আবার দেখেছি না ফোটা ফুলের কলিরা, ঝরে গেছে অনাদরে
প্রেমহীন ভালোবাসা বেসে বেসে, ভেঙ্গেছি সুখের ঘর।।
পথের মানুষ আপন হয়েছে, আপন হয়েছে পর
তাই আমি যাযাবর, আমি এক যাযাবর।।

Wednesday, 18 July 2012

তুমি যদি বলো পদ্মা মেঘনা এক দিনে দেবো পাড়ি

তুমি যদি বলো পদ্মা মেঘনা এক দিনে দেবো পাড়ি
তুমি যদি বলো চাঁদের বুকে বানাবো আমার বাড়ি
তুমি আমার শুধু আমার ভালো লাগা কবিতা
তুমি যদি বলো রাজধানীটাকে করবো তিলোত্তমা
ও… তুমি যদি বলো জনতা ব্যাংকে ভালোবাসা দেবো জমা
তুমি আমার শুধু আমার ভালো লাগা কবিতা

এই তোমারি জন্যে হতে পারি দেবদাস রোমিও
এই তোমারি জন্যে ছেড়ে যেতে পারি সুখের পৃথিবীও
এই তোমারি জন্যে এনে দিতে পারি আকাশের সব তারা
শুধু পারবোনা আমি যদি বলো তুমি বাঁচতে তোমাকে ছাড়া
তুমি আমার শুধু আমার ভালো লাগা কবিতা

এই তোমারি জন্যে অনায়াসে আমি হিমালয় ডিঙাবো
এই তোমারি জন্যে ঘুম হীন চোখে রাত্রি কাটাবো
এই তোমারি জন্যে গোটা পৃথিবীটা ভরে দেবো ফুলে ফুলে
শুধু পারবোনা আমি যদি তুমি বলো থাকতে তোমাকে ভুলে
তুমি আমার শুধু আমার ভালো লাগা কবিতা
তুমি যদি বলো কষ্টগুলো উড়িয়ে দেবো হাওয়ায়
ও… তুমি যদি বলো করবো বদল নিজেকে তোমার চাওয়া
তুমি আমার শুধু আমার ভালো লাগে কবিতা

তুমি যদি বলো পদ্মা মেঘনা এক দিনে দেবো পাড়ি
তুমি যদি বলো চাঁদের বুকে বানাবো আমার বাড়ি
তুমি আমার শুধু আমার ভালো লাগা কবিতা

সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর




সোনা দিয়া বান্ধায়াছি ঘর
ও মন রে ঘুণে করল জর জর
হায় মন রে সোনা দিয়া বান্ধায়াছি ঘর
ও মন রে ঘুণে করল জর জর
আমি কি করে বাস করিব এই ঘরে রে
হায় রে তুই সে আমার মন ।
মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
হায় রে তুই সে আমার মন ।

তিন তক্তার এই নৌকা খানি
ও মন রে গাঙে গাঙে চুয়ায় পানি
হায় মন রে তিন তক্তার এই নৌকা খানি
ও মন রে গাঙে গাঙে চুয়ায় পানি
আমি কি করে ছেচিব নৌকার পানি রে
হায় রে তুই সে আমার মন ।
মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
হায় রে তুই সে আমার মন ।

আসি রাইতে ভবের মাঝারে
ও মন রে স্বপ্ন দেইখা রইলি ভুলে
হায় মন রে আসি রাইতে ভবের মাঝারে
ও মন রে স্বপ্ন দেইখা রইলি ভুলে
আমার এই স্বপন কি মিথ্যা হইতে পারে রে
ও আমার এই স্বপন কি মিথ্যা হইতে পারে রে
হায় রে তুই সে আমার মন ।

মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
হায় রে তুই সে আমার মন
মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
হায় রে তুই সে আমার মন।


তোর জন্য আমি বন্য




তোর জন্য আমি বন্য মাতাল অনুভব
করে সব শূন্য শুধু বন্য তুই নিখোঁজ অচিন পুরে
শপথ নিলাম তোকেই রাণী করব নিশ্চয়ই এই রাজত্বে
খুঁজে দেখিস আমার মত পাবি না কেউ স্বর্গ মর্ত্যে

দেখেছি যা দেখার ছিল এই মনের আয়নায়
অবিরত আনাগোনা বৃথা সেকি হায়
আমি ভেবে ভেবে মরি তোর মনে আছে কি
দিশেহারা আমি যে তোর প্রেমে পড়েছি
অভিমানে দূরে আমি হারাবো যখন
ভালবাসার মৃত্যু হলে করোনা বারণ

শপথ নিলাম তোকেই রাণী করব নিশ্চয়ই এই রাজত্বে
খুঁজে দেখিস …

ডুবে থাকিস বৃথা যত ঐ নষ্ট ভাবনায়
সিক্ত পণ্যে স্বপ্ন দেখা ব্যর্থ জীবনটায়
আমি পালটে দিতে পারি তোর চোখের ঐ রঙ
নরম রোদে ভালবাসা পবিত্র ভীষণ
অভিমানে দূরে আমি হারাবো যখন
ভালবাসার মৃত্যু হলে করোনা বারণ

শপথ নিলাম তোকেই রাণী করব নিশ্চয়ই এই রাজত্বে
খুঁজে দেখিস …


বন্ধু

পুরো পৃথিবী এক দিকে আর আমি অন্য দিক
সবাই বলে করছ ভুল আর তোরা বলিস ঠিক
তোরা ছিলি তোরা আছিস জানি তোরাই থাকবি

বন্ধু বোঝে আমাকে, বন্ধু আছে আর কি লাগে?

সুসম্পর্ক দুঃসম্পর্ক আত্মিয় অনাত্মিয়
শ্ত্রু মিত্র রক্ত সম্পর্কে কেউ বা দ্বিতীয়
শর্ত সব দূরে কাছে বৈধ অবৈধ
হাজারো এসব সম্পর্ক ভাঙ্গে থাকে বন্ধুত্ব
তোরা ছিলি তোরা আছিস জানি তোরাই থাকবি

বন্ধু বোঝে আমাকে, বন্ধু আছে আর কি লাগে?

কিছু কথা যা যায় না বলা কাউকে
কিছু কাজ যা যায় না করা সহজে
কিছু আচরন মানে না কেউ সামনে
কিছু জায়গা যায় না যাওয়া চাইলেই
সবই হয় যদি তোরা থাকিস সেখানে

বন্ধু বোঝে আমাকে, বন্ধু আছে আর কি লাগে?

যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে

যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে
মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার

ব্যথার সমাধিতে বসে এ মন
ফোটায় আশার ফুল রাশি রাশি
যখন দেখি ওই মুখের হাসি

স্বপ্ন থেকে আসো নয়নেতে
নয়ন থেকে তুমি স্বপ্নে হারাও
জাগরণে এসে কাছে দাঁড়াও

শিশুকালের রূপকথাগুলো
পায়ে পায়ে সব আসে ফিরে
তোমার কথা রূপকথা ঘিরে

ভুলে ভরা যত স্বরলিপি
গানের কোকিল হয়ে উঠে ডেকে
কাছে এলে তুমি দূরে থেকে

ম্যারী এ্যান

কালো সাহেবের মেয়ে ইশকুল পালিয়ে
ধরতে তোমার দুটো হাত
কত মার খেয়েছি মুখ বুজে সয়েছি
অন্যায় কত অপবাদ
বয়স তখন ছিলো পনেরো তাই ছিলো
স্বপ্ন দেখার ব্যারাম
মাথার ভেতর ছিলো এলভিস প্রিসলি
খাতার ভেতর তোমার নাম

ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী

করে সব এলোমেলো এলভিস চলে গেলো
কেটে গেলো বছর অনেক
তোমারো মামা কাকা একে একে পাড়ি দিলো
সব্বাই মিলে বিলেত
রয়ে গেলে তোমরা আকড়ে রিপন স্ট্রিট
দু’টো ঘর সিড়ির তলায়
নোনা দেয়াল থেকে যীশূ ছলছল চোখে
হাত তুলে আশ্বাস দেয় এখনো

ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী

রিকশায় চড়ে তুমি দুলে দুলে চলে যাও
আমার পাড়া দিয়ে প্রায়ই
পাক ধরে গেছে চুলে গাল দুটো গেছে ঝুলে
নিয়মিত অবহেলায়
কোন এক অফিসেতে শর্ট হ্যান্ড নিতে নিতে
নখগুলো গেছে ক্ষয়ে
ছোট্ট বেলার প্রেম আমার কালো মেম
কোথায় গেলে হারিয়ে

ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী

তোমার বাবা ছিলো ইঞ্জিন ড্রাইভার
আমার বনেদি ব্যবসা
বংশের ইজ্জত রাখতে হলে বউ হতে হবে ফর্সা
বাঙালীর ছেলে তাই গলায় গামছা দিয়ে
ফেললাম করে বিয়ে
ছোট্ট বেলার প্রেম আমার কালো মেম
কোথায় গেলে হারিয়ে

ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী

আমি তোমাকেই বলে দেব

আমি তোমাকেই বলে দেব
কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে

আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প, কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়

ছুঁয়ে কান্নার রং, ছুঁয়ে জোছনার ছাঁয়া ।।

আমি কাউকে বলিনি সে নাম
কেউ জানেনা, না জানে আড়াল
জানে কান্নার রং, জানে জোছনার ছাঁয়া ।।

তবে এই হোক তীরে জাগুক প্লাবন
দিন হোক লাবন্য হৃদয়ে শ্রাবণ
তুমি কান্নার রং, তুমি জোছনার ছাঁয়া ।।

আমি তোমাকেই বলে দেব
কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে

আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প, কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়

ছুঁয়ে কান্নার রং, ছুঁয়ে জোছনার ছাঁয়া ।

আমার স্বপন কিনতে পারে এমন আমীর কই




আমার স্বপন কিনতে পারে এমন আমীর কই ?
আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই ?

আমি দুখের সিংহাসনে বসে সুখের বিচার করি
আমি ভাবের ঘরের অভাবটুকু আখর দিয়ে ভরি ।।
আমার পরম বন্ধু হবে
এমন অধীর কই
আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই

আমার স্বপন কিনতে পারে এমন আমীর কই ?
আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই ?

অসীম ধনে ধনী
দরিদ্র কে বলে আমায়
জাগরনের ঘুমে আছি
বিনিদ্র কে বলে আমায় ।।
আমি পথের দিশা ভুলে গিয়ে পথেই ফিরেই আসি
আমি ভালোবাসার যন্ত্রণাকে অধিক ভালবাসি

আমার ধরে বেঁধে রাখে এমন সে নীড় কই
আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই ।।

আমার স্বপন কিনতে পারে এমন আমীর কই ?
আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই ?


বেশি কিছু আশা করা ভুল

বেশি কিছু আশা করা ভুল
বুঝলাম আমি এতদিনে ।।
মুক্তি মেলে না সহজে
জড়ালে হৃদয় কোনো ঋণে
বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে ।

এই জগতে এমনও লোক থাকে
স্বপ্ন দেখতে নেই যাদের ।।
দুঃখের মূল্যতে গেয়ে
কঠিন সত্য নেয় কিনে

বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে ।
মুক্তি মেলে না সহজে জড়ালে হৃদয় কোনো ঋণে
বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে ।

আমি সেই সে দলের একজনা
বুকে যার শুধু বঞ্চনা ।।
যে বর্ষার মেঘ পেরিয়ে
আসে না আলোরা আশ্বিনে

বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে ।
মুক্তি মেলে না সহজে জড়ালে হৃদয় কোনো ঋণে
বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে ।